পাটগ্রামে বিপাকে দুগ্ধখামারী ও সবজি চাষীরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গনজমায়েত ও প্রায় সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদিদোকান বাদে। বিশেষ করে খাবার হোটেল ও চায়ের দোকোনে এ অঞ্চলের অধিকাংশ দুধ ব্যবহার হয়ে থাকে।
ফলে এসব দোকান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে পাটগ্রামের ছোট-বড় দুগ্ধখামারি ও সবজি চাষিরা। এর ফলে দুধ বিক্রি করতে পারছে না খামারিরা। দুধ বিক্রি করতে না পারায় অনেক খামারির দুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও  কৃষকেরা শাক ,সবজির বিক্রি করতে পারছে না দাম কম ও পাইকারী ক্রেতা না থাকায়। বেশি দিন জমিতে সবজি থাকলে নষ্ট হবে এজন্য অনেকে বাধ্য হয়ে কম দামে সবজি বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর কাঠালতলা গ্রামের কৃষক মো. মকবুল হোসেন (৩০) ও জোংড়া  ইউনিয়নের কৃষক মো. হেলাল হোসেন  (৩২) বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে শাক, সবজির দাম একেবারেই কম।কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম অর্ধেক কমে গেছে। আমাদের সবজি ক্ষেতে এবারে লোকসান গুনতে হবে। বর্তমানে শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬-৭ টাকা। পুইশাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮ টাকা। বাঁধাকপি প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা।
বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের দুগ্ধখামারি মো. একরামুল হক (২৯) জানান, আমার খামারে দৈনিক প্রায় ৬০ লিটার দুধ পাই।
করোনাভাইরাসের কারণে হোটেল ও চায়ের দোকোনে বন্ধ থাকায় দুধ নিয়ে এখন চিন্তায় পড়েছি। দুধ বিক্রি করতে পারতেছিনা। বাধ্য হয়ে বাছুরকে দুধ খাওয়াচ্ছি। বর্তমানে পশু খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ রকম অবস্থা আর কিছু দিন চললে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.