বাগেরহাটপ্রতিনিধি: মোংলার পশুর নদীতে ৬শ টন কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এম,ভি নাওমী’ ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়া-০৪ নম্বর এ্যাংকোরেজ এলাকায় ডুবো চরে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে কার্গোটি ডুবে যায়। জাহাজে থাকা ৮নাবিক ও ২ নিরাপত্তা কর্মী নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
তবে শুক্রবার (০৪ মার্চ) রাতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এম,ভি নাওমী’র মাস্টার মোঃ আজিজুল হক মোংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার পরে জানানো হয়।পশুর চ্যানেলে নৌযান চলা স্বাভাবিক রয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে ডুবে যাওয়া কার্গোটি চ্যানেল থেকে সরানের নির্দেশ দিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ডুবে যাওয়া জাহাজটি বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়া-০৫ নম্বর এ্যাংকোরেজে থাকা বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ এম,ভি ‘জর্ডান এস’ থেকে ৬শ মেঃ টন কয়লা বোঝাই করে এম,ভি নাওমী কার্গো জাহাজ। নোঙ্গর করার জন্য বিদেশী জাহাজ ছেড়ে হারবাড়ীয়া-০৪ নম্বর এ্যাংকোরেজ এলাকায় পৌঁছালে ডুবে যায় কার্গোটি।
দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের মাস্টার মোঃ আজিজুল হক বিটিসি নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মোংলা বন্দরের হাড়বারিয়া ৫ নম্বর বয়ায় অবস্থানরত বিদেশি জাহাজ ‘সিএমভি জর্দান’ থেকে বৃহস্পতিবার ‘এমভি নওমীতে” ৬০০ টন কয়লা বোঝাই করে ছেড়ে আসে। পরবর্তীতে রাত ১১ টার দিকে বন্দরের ৪ নম্বর বয়ার কাছাকাছি পৌছালে ডুবন্ত কিছুর সঙ্গে কার্গোর ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ইঞ্জিন কক্ষে পানি ঢুকতে থাকে। এ সময় আমরা দ্রুত কার্গোটিকে পার্শ্ববর্তী চরে উঠায়ে দিই।
পরবর্তীতে অন্য লাইটার জাহাজের সহায়তায় দুই নিরাপত্তা কর্মীসহ আট নাবিক তীরে আসতে সক্ষম হই। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার খবর জানাই এবং মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ বিটিসি নিউজকে বলেন, জাহাজটি ডুবলেও বন্দর চ্যানেলে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ১৫দিনের মধ্যে চ্যানেল থেকে জাহাজটি সরাতেনবলা হয়েছে।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর হাড়বাড়ীয়া-০৮ ও ০৯ নম্বর এ্যাংকোরেজের মাঝামাঝি এলাকায় একটি বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ৬ শ থেকে সাড়ে ৬শ মেঃ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় বাল্কহেড এম,ভি ফারদিন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.