গাইবান্ধা প্রতিনিধি: পলাশবাড়ীতে স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশী মুরগির ব্যবসায়ী ময়নুল। এব্যাপারে ধর্ষিতা বিচার চাইলেও বেশি টাকার লোভে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার স্বামী ও কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ওঠে পড়ে লেগেছে।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর বাড়াই পাড়া গ্রামের মৃত আজহার আলী আজোর ছেলে নারীলোভী মুরগি ব্যবসায়ী ময়নুল (৪৫)।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে প্রতিবেশীর স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে তার ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক পালিয়ে যায়।
এমন অভিযোগ ধর্ষিতা ও তার স্বামীর এবং গ্রামবাসির। বিষয়টি নিয়ে গোটা গ্রামে ও তার আশপাশের এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় তারা ধর্ষকের বিচার দাবী করেন। ধর্ষক নারী লোভী লম্পট ময়নুল পলাতক রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ও জানা যায়, সুলতানপুর বাড়াইপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা উক্ত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী সুলতানপুর বাড়াইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ সহ উপস্থিত স্থানীয় অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উপস্থিত না করে এক তরফা আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করে। পরে এ ঘটনার জানাজানি হলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টেরপেয়ে উক্ত গ্রাম শালিস বৈঠক পন্ড হয়ে যায়।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম থানায় কমিউনিটি মিটিং শেষে থানা চত্বরে তাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তারা যদি থানায় অভিযোগ দিতে চায়,দিতে পারে। আমি আর এসবের মাঝে নাই।
কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর জানান, ভোক্তভোগী পরিবারের নিকট বিষয়টি মৌখিকভাবে শোনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বামী আব্দুর রউফ মাস্টার কে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর এখন পর্যন্ত কি অবস্থায় রয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো দাবী করেন এখন শুধু মহিলারাই ধর্ষনের শিকার হন না পূরুষেরাও ধর্ষণের শিকার হন।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) মাসুদ রানা বিটিসি নিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত কোন ধর্ষনের অভিযোগ থানায় কেউ জমা দেয়নি বা পাওয়া যায়নি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.