পর্যাপ্ত অস্ত্র দিচ্ছে না রাশিয়া, বাখমুত থেকে যোদ্ধা প্রত্যাহারের হুমকি ওয়াগনার গ্রুপের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের। নিজেদের অবস্থানে অনড় রাশিয়া। অন্যদিকে, প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ইউক্রেনও।
এরই জেরে রোববার (৩০ এপ্রিল) ক্রাইমিয়ার জ্বালানি মজুদ কারখানায় জোরালো হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবহর। ধ্বংস করেছে ৪০ হাজার টন তেলবহনে সক্ষম ১০টি ফুয়েল ট্যাংক। তবে অস্ত্র ঘাটতির অভিযোগ করে, বাখমুত থেকে যোদ্ধা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে রুশ সমর্থিত ওয়াগনার গ্রুপ।
রোববারের এ হামলায় সীমান্তবর্তী গ্রামে মিসাইল হামলায় প্রাণ গেছে ২ রুশ নাগরিকের। এ পরিস্থিতিতে বাখমুত ফ্রন্টলাইন থেকে যোদ্ধা প্রত্যাহারের হুমকি দিলো পুতিন ঘনিষ্ঠ ওয়াগনার গ্রুপ। অভিযোগ, পর্যাপ্ত যুদ্ধ সরঞ্জামের অভাবে প্রাণ হারাচ্ছে দলটির সদস্যরা।
মূলত, কৃষ্ণ সাগরে ঘাঁটি গাড়া রুশবহরকে জ্বালানি সরবরাহ করা হয় সেভাস্তোপোল বন্দর থেকে। সেখানেই রোববার ভোরে মিসাইল ছুঁড়লো ইউক্রেনীয় বহর। ধ্বংস করলো ৪০ হাজার টন তেলবাহী অন্তত ১০টি ট্যাংক। একে উমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই আখ্যা দিচ্ছে জেলেনস্কি প্রশাসন।
এ নিয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য মোক্ষম জবাব পাবে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। যারাই মিসাইল হামলার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তারা সবাই হত্যাকারী। শুধু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নন। বরং ক্ষেপণাস্ত্রের অনুমোদন থেকে শুরু করে সেগুলোর পরিবহন, উৎক্ষেপণের সাথে জড়িতরাও পাবেন শাস্তি। প্রত্যেককে আনা হবে জবাবদিহিতার আওতায়।
সবচেয়ে আলোচিত ফ্রন্টলাইন বাখমুতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া, বারবারই সেটি দাবি করছে পুতিন প্রশাসন। কিন্তু সেভাবে অস্ত্র সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করছে ওয়াগনার গ্রুপ। রুশ সমর্থিত গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেন, বাখমুত ফ্রন্টলাইনে ধারণার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি যোদ্ধা হারাচ্ছি আমরা। যার মূল কারণ গোলাবারুদ আর যুদ্ধ সরঞ্জামের অভাব। প্রায় প্রতিদিন হাজারও লাশের স্তূপ জমে যায়। অস্ত্রের ঘাটতি পূরণ না করা হলে যোদ্ধা প্রত্যাহারে বাধ্য হবে ওয়াগনার গ্রুপ।
ইস্টার্ন গ্রপ অব ইউক্রেনিয়ান আর্মড ফোর্সের দাবি, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুতের সরবরাহ পথ ধ্বংস করতে পারেনি রাশিয়া। এমনকি, চাসিভ ইয়ার থেকে শিল্পনগরীর সংযোগ সড়কের দখল নিয়েও চলছে লড়াই। (সূত্র: রয়টার্স)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.