পরিমন বিবির চোঁখে আনন্দের অশ্রু!

নাটোর প্রতিনিধি: কখনও এমন হয় আনন্দে চোখে আসে জল। এটাইতো আবেগ (ইমোশন)। কিন্তু কান্না মানে তো দুঃখ, বেদনা। প্রিয়জনের সঙ্গে হয় তো বিচ্ছেদ হল, অশ্রূ তো তখন আসবে, কিন্তু আনন্দে কেন? আনন্দে চোখে অশ্রূ এসেছে পরিমন বিবির।
আগামিকাল ঈদ। স্বামী আবু তাহের মোল্লা বয়সের ভারে তেমন কাজকর্ম করতে পারেনা। তবুও পায়ে প্যাডেল করে ভ্যান গাড়ি চালিয়ে সংসার চালানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন যাবৎ।
পরিমনবিবির নেই কোন ছেলে। সাত জন মেয়েকে স্বামী স্ত্রী মিলে দিন মজুরী করে বিয়ে দিয়েছেন। এখন তারা দুজন ভাঙ্গা একটি ছুপরি ঘরে বসবাস করছেন।
পরিমন বিবির জীবন-সংগ্রামের খবর পান গুরুদাসপুরের ইউএও মোঃ তমাল হোসেন। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পরিমন বিবির বাড়িতে ঈদের বাজার নিয়ে হাজির হন ইউএনও। দিয়েছেন নগদ অর্থও।
ঈদের বাজার ও নগদ অর্থ পেয়ে পরিমন বিবির চোখে আসে আনন্দের অশ্রূ। মন খুলে দোয়া করলেন তিনি। শুধু পরিমন বিবিই নন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক অসহায় হত দরিদ্র পরিবারে হাসি ফুটাতে ঈদ উপহার পৌছে দিয়েছেন ইউএনও তমাল হোসেন।
ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন বলেন, পরিমন বিবির জীবন সংগ্রামে রখবর পান একজন গণমাধ্যমকর্মীর কাছে। ঈদের বাজার করে পরিমন বিবির বাড়িতে তিনি নিজে গিয়ে পৌছে দিয়েছেন এবংপরিমন বিবির সাথে কথা বলেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পরিমন বিবির মত অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে ঈদ উপহার পৌছে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.