পত্নীতলায় সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক: নঁওগার সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম বাদলের বিরুদ্ধে পত্নীতলার পুইয়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসেনের টিনের ঘর ভেঙ্গে জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সন্ত্রস্ত্র করে তুলেছে আসামিরা।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জমির মালিক কৃষক ফিরোজ হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান এই অভিযোগ করেন। তিনি পত্নীতলা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

লিখিত বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বলেন, বাদল গত ২৫ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে দলবল নিয়ে তার পিতা, কৃষক ফিরোজ হোসেনের টিনের ৩টি ঘর ভেঙ্গে জমি জবর দখল করে। সেখানে থাকা ইট-বালু ব্যবহার করে প্রাচীর তুলে দেয়।

বিষয়টি পত্নীতলা থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে গড়িমসি করে। এরপর ৯৯৯ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে পুলিশ চলে যাবার পর বাদল ও তার সহযোগীরা পুনরায় ভুক্তভোগীর ঘর ভাংচুর করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক ফিরোজ হোসেন পত্নীতলা থানায় মামলা করলে আসামি বাদল ও সহযোগিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাদল আবারও তার পিতা, মামলার বাদী কৃষক ফিরোজ হোসেনের পথরোধ করে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। হুমকির এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে তিনি রোগী ফিরোজ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে রামেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ কয়েকদিন ঘুরানোর পর জিডি নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিপূরণসহ জমি ফিরিয়ে দেয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিপূর্বক বাদলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি সাইদুর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.