পঞ্চগড় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি, ভৌতিক বিল, বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্রাহকদের হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, সামান্য বকেয়া বিলের জন্য বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করাসহ বিভিন্ন অনিয়মে জর্জরিত হয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।
এবিষয়ে উপজেলার হাড়িভাসা বাজার মহিলা মার্কেটের ব্যবসায়ী ও বোয়ালমারী এলাকার আনোয়ার হোসেন পৃথক পৃথক দুটি নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে হাড়িভাসা বাজার মহিলা মার্কেট স্থাপন করার সময় পল্লী বিদ্যুৎ এর বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়। তার পরেই এল টি সি১ ক্ষুদ্র শিল্প বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসি।
কিন্তু নভেম্বর ২০২১ সালে বিদ্যুৎ বিলের কাগজে এল টি সি১ ক্ষুদ্র শিল্প থেকে বাণিজ্যিক এ রুপান্তরিত করা হয়। তবুও এল টি ই বাণিজ্যিক বিল পরিশোধ করি। জানুয়ারি ২০২২ সালে বিদ্যুৎ বিলের সাথে বিলম্ব ফিসহ ৩ হাজার ২২০। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে গেলে কর্তৃপক্ষ বিল না নিয়ে টালবাহানা করে। আমরা পরবর্তীতে ২৯ ফেব্রুয়ারি বিলের কাগজে দেখতে পাই গত মাসের ৩ হাজার ২২০ টাকা,ফেব্রুয়ারি মাসের ২হাজার ৬৩০ টাকা ও সমন্বয় বকেয়া ৮৭ হাজার ১১৮ টাকা।মোট ৯৭ হাজার ৫৯৮ টাকা বিল করা হয়েছে।
পরে দুই মাসের মোট ৫ হাজার ৯৯২ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করি।কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে ৯৫ হাজার ২০৫ টাকা। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পঞ্চগড় শাখার বিলিং সুপারভাইজার নাসিমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করলে বলেন,যদি সুবিধা চান তাহলে আমার কথা শুনতে হবে।আমি স্যারকে ম্যানেজ করব।
হাড়িভাসা বাজার মহিলা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান,দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছি,কিন্তু এতোদিন পরে কেন বিদ্যুৎ অফিস জরিমানা করেছে।এটাকি আমাদের ভুল। এতো টাকা আমরা এখন কোথায় পাবো। অনেক দোকানদার পরিবর্তন হয়েছে। কে নিবে কার টাকার দায়।
আরেকটি অভিযোগে, আনোয়ার হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, সেচ পাম্পের ব্যবহারের সময় ভুলবশত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে না পারলে। সেচ পাম্পের সংযোগ বিছিন্ন করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে বিল পরিশোধ করলে উৎকোচ না দেয়ায় ২০ দিন পরে সংযোগ দেয়।
তিনি আরো জানান,বিল শাখার নাছিমা খাতুন ও অফিসের ডিজিএম আমাকে অফিসে ডেকে জানান, ছয় বছর ধরে আমি অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছি মোট জরিমানা হয়েছে ৩৭ হাজার, ৭ হাজার পর্যায়ক্রমে নেয়া হয়েছে, ৩০ হাজার টাকা এক সাথেই দিতে হবে।
ডাঙ্গাপাড়া এলাকার রুবেল জানান,বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি,কিন্তু আবার সেই টাকা যোগ হয়ে পরের মাসে আসছে।বকেয়া দেখিয়ে সংযোগ বিছিন্ন করে দেয় কর্তৃপক্ষ।পরে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু পুনরায় সংযোগ নিতে ১ হাজার ৬০০ টাকা বেশি নিয়েছেন বিদ্যুৎ অফিসের বিল শাখা।
পঞ্চগড় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মেহেদী হাসান বিটিসি নিউজকে জানান, ৯৫ হাজার টাকা বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, অডিট আপত্তিতে এ জরিমানা করা হয়েছে। অর্থ আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিসের কেউ জড়িত আছে কি না তা জানা নেই। তবে অভিযুক্ত বিল শাখার নাছিমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি নিষেধ করেন।
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আবু আশরাফ মোহাম্মদ সালেহ বিটিসি নিউজকে জানান,অভিযোগ পাইনি,যদি পাই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.