পঞ্চগড়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদর উপজেলার বজরা পাড়া নতুনহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনেশ্বর বর্ম্মনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে কাগজপত্র সৃষ্টি করে সহঃ শিক্ষককে এমপিও ভুক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে প্রধান শিক্ষক সহ ৩ জনের নামে সমন জারির আদেশ দেন।
এর আগে  রওশনুজ্জামান বাদী হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ধনেশ্বর বর্ম্মন, গীতারানী রায় চৌধুরী, ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাগজ পত্র সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে দৈনিক মানব জমিন ও দৈনিক প্রতিদিন পত্রিকায় জীব-বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিধি মোতাবেক ১৩ নভেম্বর ২০১২ সহঃ শিক্ষক বি.এস.সি (জীববিজ্ঞান) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে তৎকালীন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলতামাস হোসাইন লেলিন, ডিজি প্রতিনিধি রেখা রানী দেবী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহসান হাবীব। পরে গীতারানী রায় চৌধুরী সহঃ শিক্ষক জীববিজ্ঞান বিষয়ে ২৬ নভেম্বর ২০১২ যোগদান করে।
ওই শিক্ষকের বেতনভাতাদির জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট এমপিও ভুক্তির আবেদন করলে আবেদন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় আবেদন গৃহীত হয়নাই। পরে গোপনে প্রধান শিক্ষক অপর দুইজন শিক্ষকের সহযোগিতায় জীববিজ্ঞান বিষয়ের পরিবর্তে শুধু বিজ্ঞান বিষয় উল্লেখ করে, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ ও তথ্যাদি সীল-সাক্ষর জাল করে ৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে ডিজির নিকট এমপিও ভুক্তির আবেদন করার জন্য ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে।
বাদী রওশনুজ্জামান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করলে সভাপতির দায়িত্বে থাকা বাদী স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে জীববিজ্ঞান বিষয়ের পরিবর্তে বিজ্ঞান বিষয়ে ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে জীব বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক গীতারানী রায় চৌধুরীকে এমপিও ভুক্ত করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনেশ্বর বর্ম্মন স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাগজ পত্রাদি বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন-নি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর এন্টি করাপশন, এডভোকেট হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, দীর্ঘ তদন্তের পর বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা, তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে আগামী ৫ ডিসেম্বর হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রামাণিক বিটিসি নিউজকে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, যেহেতু আদালত পর্যন্ত বিষয়টি চলে গেছে তাই আদালতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.