পঞ্চগড়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ কাজলদিঘী ইউনিয়নের ধামেরঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মেই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের নামে স্কুল ফাকিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা। এতে স্কুলের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান অভিভাবকরা। স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ইমাদ আলী ও শরিফুল ইসলাম জানান সহকারী শিক্ষক আজিজুল হক প্রধান দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলে আসেন না, হঠাৎ এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান সকালে স্কুলে এসেই অফিসের কথা বলে চলে যায়। স্কুলের উপকরণ উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকা লোপাট এমন লিখিত ও সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন ঐ স্কুলের পরিচালনা কমিটির দুই সদস্য।

অভিযোগে বলা হয় বোদা উপজেলার ধামেরঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক আজিজুল হক প্রধান, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত। তারা স্কুলে অনুপস্থিত থাকলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় গোপনে এসে স্বাক্ষর করে নিজেদের উপস্থিতি দেখাচ্ছে। অথচ স্কুলের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা সকলে অবগত ওই দুই শিক্ষক স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলছে দিনের পর দিন।

গত সোমবার (১২ নভেম্বর) স্কুলে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় ০২ জন শিক্ষিকা উপস্থিত রয়েছে সাংবাদিক উপস্থিতির খবর পেয়ে আরেক শিক্ষিকা স্কুলে উপস্থিত হন কিন্তু পাওয়া যায়নি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক আজিজুল হককে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা জানায় যে, তাদের অ্যাসেম্বলী ও জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না এবং হিন্দুধর্মালম্বী ০২ জন শিক্ষক থাকা স্বত্তেও হিন্দুধর্ম শিক্ষা পাঠদান করা হয় না। এতে হিন্দুসম্প্রদায়ের অভিভাবকগণ শিক্ষকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ইংরেজি পাঠদান করা হয় না বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

ভিশন ২০২১ এর লক্ষ্য পূরণে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে ঝড়ে পড়া শিশুদের স্কুল মূখী করতে পাঠদান ব্যবস্থায় যে পরিমাণ সরকার ভর্তূকি দিয়েছে তার কোনটাই ফলপ্রসু হয় না ওই স্কুলে এমন কথাও জানিয়েছে পরিচালনা কমিটির দুই সদস্য। উপকরণ ক্রয়ের ৪০ হাজার টাকা কোন উপকরণ ক্রয় না করে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা।

এ দিকে প্রধান শিক্ষক জানান,আমি মাসিক মিটিং-এ উপস্থিত ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। আর বরাদ্দের ৪০ টাকার স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন হিসাব দিবেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন আগের থেকে স্কুল খুব ভাল চলছে উপকরণের টাকা দিয়ে টেবিল ও বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের জন্য খরচ হয়েছে।

এ ব্যপারে বোদা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ হাসান বলেন, যদি ধামেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদ্বয়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

সংবাদ প্ররেক বিটিসি নিউজ  এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি  শেখ সম্রাট হোসাইন ।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.