পঞ্চগড়ে আবাসিক এলাকায় চা-কারখানা বৈদ্যুতিক তাড় ছিঁড়ে দূর্ঘটনা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে মরগেন চা কারখানার বৈদ্যুতিক লাইনের তাড় ছিঁড়ে কয়েকজন বিদ্যুৎ স্পৃষ্টের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ভোর ৪ টার সময় এ ঘটনা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

স্থানীয়রা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সবাই বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে অনুভব করে বাড়ীর বাইরে গেলেও ফ্লোরে শুয়ে থাকা ফুলজান বেগম (৪০) নামে একজন গুরুতর আহত হয়। পরে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বাড়ীর পাশ দিয়ে মরগেন চা কারখানায় নেসকোর বৈদ্যুতিক লাইন যাওয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে বসবাস করছি। লাইন থেকে প্রায় সময় আগুনের ফুলকি পড়ে। আজ ভোরে তাড় ছিঁড়ে পড়লে অনেকেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে হয়। কতৃপক্ষকে বারবার লাইনের বিষয়ে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি ।আমরা বাড়ীর পাশ থেকে বৈদ্যুতিক লাইন সড়ানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।

জানা গেছে, পঞ্চগড়ে আবাসিক এলাকাতেই একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ চা-কারখানা। নগরবাসী আবাসিক এলাকায় কারখানার অবাধ অবস্থানে অসহায়।ফলে বাধ্য হয়েই নগরবাসীর অনেককেই কারখানা ভবনের আশপাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করতে হচ্ছে।

এসব কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি।

এতে শব্দ দূষণসহ নানা দূষণের শিকার হচ্ছেন তারা। কিন্তু আবাসিক এলাকা থেকে চা-কারখানা সরানো বা স্থাপনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের তেমন কোন উদ্যোগ নেই। প্রশাসন জানলেও রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ! ব্যবস্থা গ্রহণে তেমন কোনো মাথাব্যথাই নেই তাদের।

মরগেন চা ইন্ডাস্ট্রিস এর ম্যানেজার ইমতিয়াজ আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তাড় ছিঁড়ে যাওয়ায় আতংকে ওই মহিলা অসুস্থ হয়েছে। কারো কোন সমস্যা হয় নাই। আবাসিক এলাকায় চা কারখানা স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন শুধু আমরাই না অনেক চা কারখানা আবাসিক এলাকায় হয়েছে ।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার নিরঞ্জন রায় বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমরা বৈদ্যুতিক লাইনের তাড় ছিঁড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক মহিলাকে উদ্ধার করি। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।বিদ্যুৎ অফিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে ।

বিদ্যুৎ ও বিতরণ বিভাগ নেসকো নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.