নোয়াখালী সুবর্ণচরের চাষিরা টমেটো উৎপাদনে লাভবান

নোয়াখালী প্রতিনিধি: বৃহত্তর নোয়াখালী ছাড়িয়ে সুবর্ণচরের সবজি এখন রাজধানীসহ প্রায় প্রতিটি জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। কৃষিতে এমন বিপ্লবের পেছনে রয়েছে এ অঞ্চলের চাষিদের কঠোর পরিশ্রম, সরকারি ও বেসরকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা।
গত (২১-২২ ফেব্রুয়ারি) দুইদিন ব্যাপি সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন নারী চাষির সাথে। আমেনা বেগম নামে সোলেমান বাজার এলাকার এক নারী জানান, ১ একর জমিতে টমেটো চাষের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। বিজলী-১১ জাতের এ টমেটো চাষে তার খরছ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। কোনো রকম কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই টমেটো চাষ করেছেন তিনি। বাজার দর ভালো থাকলে আশা করছেন তিন লাখ টাকার বেশি টমেটো বিক্রি হবে তার।
একই এলাকার আরেক টমেটো চাষি জোসনা বেগম জানান, এক একর জমিতে টমেটো চাষে তিনি খরচ করেছেন ৫০ হাজার টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ফেরোমন ফাঁদ আর হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করায় কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি তার। পাইকারি প্রতি কেজি ৪০/৪৫ টাকা করলে তার ফলন বিক্রি হবে তিন লাখ টাকার বেশি।
জোসনা বেগম নামে আরেক নারী জানান, দেশি টমেটোর আগে এর ফলন আসায় ভালো দাম পাওয়া যায়।
সুবর্ণচর উপজেলার ভূঁঞার হাট এলাকার টমেটো চাষি মো. হেলাল উদ্দিন জানান, সরকারি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই তিনি টমেটো চাষ শুরু করেন। ২ একর জমিতে টমেটো চাষ করতে তার খরচ হয়েছে লাখ টাকার মতো। ভালো পরিবেশ আর ন্যায্য দাম পেলে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন তিনি।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশিদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গ্রামীন পর্যায়ে কৃষকদের বিনামূল্যে উন্নত বীজ প্রদান এবং কীটনাশকমুক্ত ভালো ফলন উৎপাদনে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে। এতে কৃষকরা ভালো ফলন অর্জন করছে।
তিনি জানান, সুবর্ণচরের কৃষকরা কঠোর পরিশ্রমী, নিয়মিত সঠিক পরামর্শ পেলে তারা কৃষিতে বিপ্লব সাধন করতে সক্ষম হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.