নোয়াখালী সদরে দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে পিতা-পুত্রের মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদরে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবার মৃত্যুর ৬দিন পর মারা গেছে ছেলে। নিহত ইয়াসিন অভি (১৭) কবিরহাট উপজেলার নরোত্তপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গাজী ভূঞা বাড়ির মৃত মোয়াজ্জেন হোসেন ওয়াসিমের ছেলে। সে উপজেলার সদর নরোত্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়  থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে অভি ধানমন্ডি নর্দান হসপিটালের আইসিউতে মারা যায়। পরে একই দিন রাত ৯টার দিকে উপজেলার নরোত্তপুর ইউনিয়নের গাজী ভূঞা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, গত শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ১১নং নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজার এলাকায় দুটি অটোরিকশার সংঘর্ষে অভির বাবা মোয়াজ্জেন হোসেন ওয়াসিম (৪০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সে কবিরহাট উপজেলার নরোত্তপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গাজী ভূঞা বাড়ির মৃত মোস্তফা ভূঞার ছেলে।
এ দুর্ঘটনায় ঘটনায় গুরুত্বর আহত অভিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুর্ঘটনার ৬দিন পর ঢাকার ধানমন্ডি নর্দান হাসপাতালে মারা যায় সে।
নিহতের কাকা ফখরুউদ্দিন মঞ্জু বিটিসি নিউজকে জানান, নিহত ওয়াসিম তার ছেলে অভিকে নিয়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে মাইজদী থেকে কবিরহাটের নরোত্তমপুর ইউনিয়নে তার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রা পথে সে নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারের দক্ষিণে পৌঁছলে রাস্তার পাশে রাখা গাছের কারণে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত ওয়াসিম পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং ৩ সন্তানের জনক ছিল। সে মাইজদী শহরে ভাড়া বাসায় থাকত।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সাহেদ উদ্দিন বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.