নোয়াখালীতে আরও ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত


নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। গত ২৪ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরও ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।  
এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশ হাজার ৫৬৯ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ১ শতাংশ। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কবিরহাটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০ জনে। মৃত্যুর হার ১দশমিক ২৩শতাংশ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ২৪জন, সুবর্ণচরে ২জন, বেগমগঞ্জ-৪৫জন,সোনাইমুড়ীতে ৮জন,চাটখিল ১৩জন, সেনবাগ-১৭জন, কোম্পানীগঞ্জ-৪জন, কবিরহাট ১৭জন।

গতকাল বুধবার (২৩ জুন) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.মাসুম ইফতেখার বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করে।  এর আগে   মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই সব তথ্য তাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করে।

ডা.মাসুম ইফতেখার জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ জন সদর উপজেলার,সুবর্ণচরে দুইজন,হাতিয়া একজন, বেগমগঞ্জের ২৬ জন, সোনাইমুড়ীর ২জন, চাটখিলের চারজন, সেনবাগ তিনজন,কোম্পানীগঞ্জের আটজন ও কবিরহাটের ১৫জন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৩৩৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এদিকে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ১০২জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে (শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম) ভর্তি রয়েছেন ৩৮ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১৪জন।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে করোনার প্রকোপ না কমায় নোয়াখালী পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে ৫-১১ জুন ও দ্বিতীয় দফায় ১১-১৮ জুন নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তবে করোনার প্রকোপ না কমায় চলমান এ লকডাউন আরও সাতদিন বর্ধিত করা হয়েছে।
আগামী ২৫ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এর আগে গত ৪ জুন বিকেলে জেলা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণা করেন। নোয়াখালী পৌরসভা ছাড়াও সদর উপজেলার নেয়ান্নই, বিনোদপুর, কাদির হানিফ, নেয়াজপুর, অশ্বদিয়া ও নোয়াখালী ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন কার্যকর রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.