নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচ: যে ম্যাচে তাকিয়ে আছে ভারতও

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: আফগানিস্তান না জিতলে ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি চলে যাব- স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমনটা বলেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তাতে কিছুটা হাসির রোল পড়লেও জাদেজা ভুল বলেননি। তাদের সেমিফাইনাল খেলা না খেলা নির্ভর করছে আজ নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচের ওপর। তাই আবুধাবিতে অনুষ্ঠেয় ‘অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালের’ দিকে তাকিয়ে থাকবে ভারতের ১৩৮ কোটি লোক!
নিউজিল্যান্ড জিতে গেলে মূহুর্তের মধ্যেই থমকে যাবে তাদের প্রত্যাশা। তেমনটা হলে নামিবিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটাও হয়ে যাবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। সুযোগ আছে আফগানিস্তানেরও। তবে তাদের জন্য বেশ কঠিনই রাস্তাটা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরুর পর ভারতকে হারিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা। অনুমিতভাবে পরের দুই ম্যাচেও তুলে নেয় সহজ জয়। তবে তারও আগে থেকে আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে ভারত। কেননা স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া কখনই ভরসা করার মতো দল হয়ে উঠেনি। সেখানে আফগানিস্তান প্রায় কাপিয়ে দেয় আসরের প্রথম সেমিফাইনালিস্ট পাকিস্তানকে। তাই কিউইদের বিপক্ষেও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার সামর্থ্য তাদের রয়েছে।
রহস্য স্পিনার মুজিব উর রহমান ফিট হয়ে উঠলে শক্তি আরো বেড়ে যাবে আফগানদের। ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির মতো বোলারদের সামলাতে হলে দেখে শুনেই খেলতে হবে আফগান ব্যাটসম্যানাদের। উড়িয়ে মারার যে প্রবণতা আছে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখুক-এমনটাই চাইছে ভারত। যদি তেমনটা হয়, তাহলে রশিদ নবীরা যেকোনো দলের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার ক্ষমতা রাখেন।
১৩৮ কোটি লোকের প্রার্থনা যাতে বিফলে যাক তেমন কাজ করারই চেষ্টা করবেন কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। নামিবিয়ার বিপক্ষে ২৩ বলে ৩৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে চাপ থেকে উদ্ধার করেছিলেন দলকে। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের মনকে সামনের দিকে মনোনিবেশ করতে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই করি, তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দল হিসেবে আমরা খুবই ভাল। আমরা জানি গত কয়েক মাসে মাঠের বাইরে এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যা নিয়ে লোকে অনেক কথা বলেছে। তবে এটা আমাদের বিরক্ত করে না। আমাদের কাজ হলো মাঠে গিয়ে নিজেদের কাজটা করা। স্পষ্টতই রানরেট নিয়ে কিছু ভিন্ন সমীকরণ আছে। কিন্তু আমাদের কাছে জয়টাই (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) মূল কথা।’
নিশাম আরো বলেন, ‘র‌্যাংকিংয়ের বিচারে নিশ্চিতভাবেই নামিবিয়া বা স্কটল্যান্ডকে সম্মান দেয়ার কারণ তবে আমরা প্রতিটা ম্যাচেই মনোযোগি ছিলাম। আমরা জানতাম, প্রত্যেক দলই নিজেদের দিনে যে কাউকে উড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.