নাসিমের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: মারা গেলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত ৫ জুন তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করার পর থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে কোমায় ছিলেন।

এর আগে, গত ১ জুন রক্তচাপ জনিত সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, আওয়ামী রাজনীতির পুরোটা এই রাজনীতিক আমৃত্যু লালন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু তথা জাতীয় ৪ নেতার আদর্শ। বারবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত এই নেতা স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্রসহ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কারা অভ্যন্তরে জাতীয় ৪ নেতাকে যখন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়, তখন তরুণ বাকশাল নেতা মোহাম্মদ নাসিম আত্মগোপনে। তাই পিতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সঙ্গে শেষ দেখাটি হয়নি তার। জাতির পিতাকে হত্যার ১ দিন পর ৭৫ এর ১৬ আগস্ট মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনিতে প্রধানমন্ত্রী পিতা শেষবারের মত বিদায় জানান তাকে। পিতার স্মৃতিচারণে প্রয়াত এ নেতা বলেছিলেন, আমৃত্যু জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে থাকার কথা। তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচররা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সে পথেই হেঁটেছেন মোহাম্মদ নাসিম।

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মনসুরের ঘরে নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের দোসরা এপ্রিল। তরুণ বয়সেই রাজনীতিবিদ পিতার হাত ধরে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ৬৬তে পিতার সঙ্গে বন্দি হন স্বৈরাচারী আইয়ুবের হাতে। কারাবন্দি অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন মেট্রিক। জগন্নাথ কলেজের রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র মোহাম্মদ নাসিম সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগে।

মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া নাসিম মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে পিতার নির্দেশে যোগ দেন বাকশালে। ছিলেন পাবনা শাখার সাধারণ সম্পাদক। যুবলীগের নীতি নির্ধারক থেকে হয়েছেন মূল দল আওয়ামী লীগেরও নীতিনির্ধারক। বারবার সিরাজগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যার ঘনিষ্ঠ সহচর। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সরকারে দায়িত্ব পালন করেছেন মন্ত্রিসভায়। ছিলেন, স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ডাক টেলি যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। ।

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে প্রগতিশীল ১৪ দলের সংগঠক হিসেবে মোহাম্মদ নাসিমের অসাম্প্রদায়িক ভূমিকা রাজনীতির মাঠে সমান আলোচনা যুগিয়েছে আমৃত্যু। করোনা শনাক্তের পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাইল্ড স্ট্রোক করেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এ আওয়ামী লীগে নেতা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.