নাটোরে সুদ ব্যবসায়ী খুশি বেগম গ্রেফতার

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে সুদ ব্যবসায়ী খুশি বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের হাজরা নাটোর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর পুলিশের নজরে আসে। তখন থেকেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়। কয়েকদিনের অনুসন্ধানে সুদ ব্যবসার নামে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের সত্যতা পাওয়ায় সুদ ব্যবসায়ী খুশি বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে পুলিশ খুশি বেগম ও ভুক্তভোগীদের থানায় নিয়ে আসেন। সেখানে ভূক্তভোগী সামসুন্নাহার বাদি হয়ে খুশি বেগমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী কল্পনা পাহানের বসতভিটা দখল করে নেওয়া ও সুদের টাকার জন্য রহিমা বেগমকে নির্যাতনের ঘটনা উঠে এসেছে।
ভূক্তভোগী সামসুন্নাহারের রুজু করা মামলায় খুশি বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ বিকেল পাঁচটায় তাকে সদর আমলী আদালতে হাজির করে। আদালতের বিচারক মো.আবু সাঈদ তাঁর জামিনের আবেদন নাকোচ করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আসামি দীর্ঘদিন ধরে এজাহারকারিসহ এলাকার বহু মানুষের কাছে কথিত সুদ আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করে আসছে। এই অপকর্মের সাথে আর কারা জড়িত আছে তা উদ্ঘাটনের জন্য খুশি বেগমকে সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
উল্লেখ্য, নাটোর শহরসংলগ্ন হাজরা নাটোর গ্রামের কল্পনা পাহানের একমাত্র সম্বল তাঁর বসতভিটার জমি। নিজের নামে এর দলিল থাকলেও মালিকানার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না তিনি। সুদের টাকা নেওয়ার সময় সাদা কাগজে স্বাক্ষর করেছিলেন। এখন ঋণ প্রদানকারী ব্যক্তি কল্পনার জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন। পরিবার নিয়ে কল্পনা থাকেন অন্যের বাড়িতে। তার মত গ্রামের সামসুন্নাহার,রহিমা বেগমসহ বহু মানুষ ঋণ দাতা খুশি বেগমের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে ঋণ নিয়ে সমূদয় পরিশোধ করার পরও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। খুশি বেগমের গ্রেফতারের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.