নাটোরের সিংড়ার আলামিন কি জীবন যুদ্ধে হেরে যাবেন?


নাটোর প্রতিনিধি: মরণ ব্যাধী থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত নাটোরের সিংড়ার আলামিন জীবন যুদ্ধে লড়াই করছেন ৭ বছর ধরে। ১৫ দিন পর পর শরীরে দিতে হচ্ছে রক্ত। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
শেষ পর্যন্ত কি জীবন যুদ্ধে হেরে যাবেন এই ৩৫ বছরের যুবক আলামিন? এই প্রশ্ন এখন আলামিনের কাছের ও দুরের নাম জানা না জানা অসংখ্য শুভাকাঙ্খীদের। আলামিনের পুরো নাম মোঃ আজমল হক আলামিন। পেশায় একজন মোবাইল মেরামতকারী। পিতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ। জন্মস্থান উপজেলার শহরবাড়ী গ্রামে হলেও বর্তমান সিংড়া পৌর শহরের মুরগী হাটি রোডে আলামিন টেলিকম নামে ছোট্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার।
আজ থেকে ৭ বছর আগের ঘটনা। আলামিন তখন ছাত্র মানুষ। হঠাৎ করেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন আলামিন। ২০১৪ সালের আগষ্ট মাসে তার শরীরে প্রথম থ্যালাসেমিয়া জীবানু সেনাক্ত হয়। নিজের জমি ও বসত বাড়ি বিক্রয় করে চিকিৎসা নেন আলামিন। ২০১৪ সাল থেকে এপর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার।
কিন্তু মরণ ব্যাধী এই চিকিৎসার শেষ নেই। প্রথমত ২মাস পর পর তার শরীরে রক্ত দেওয়া লাগলেও এখন রক্ত দিতে হচ্ছে ১৫ দিন পর পর । নিজের ছোট্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প আয় হয় তার। সেই আয় থেকে সংসার চালিয়ে চিকিৎসা নেওয়া আলামিনের পক্ষে বড়ই কষ্টসাধ্য। আলামিন বলেন, প্রতিবার রক্ত সঞ্চালন করতে ৩২০/-টাকা লাগে।
এছাড়া প্রতিদিন ঔষধ বাবদ খরচ হয় ৩০০/-টাকা। আমার বাবার কাছ থেকে যতটুকু বসত বাড়ি ও জমিজমা পেয়ে ছিলাম সবটুকু বিক্রয় করে চিকিৎসা নিয়েছি। এখন আমার সম্পদ বলতে কিছুই নাই। আমি এক অসহায় মানুষ।
চিকিৎসকগণ বলেছেন দেশের বাহিরে ইন্ডিয়াতে উন্নত চিকিৎসা নিলে ভালো হবে। সেখানে খরচ হবে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। আমি এখন এতো টাকা কোথায় পাবো?
সুন্দর এই পৃথিবীতে সবাই বেঁচে থাকতে চায়। বেঁচে থাকতে চান আলামিনও। কিন্তু অর্থের কাছে কি হেরে যাবেন আলামিন? চিকিৎসার অভাবে নিভে যাবে তাঁর জীবনের আলা? মানুষ মানুষের জন্য। তাই আসুন আমরা আলামিনের পাশে দাড়াই। একটু একটু করে সহযােগতিার হাত বাড়িয়ে দেই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.