নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ টিনশেডের ঘরে পাঠদান


নাটোর প্রতিনিধি: বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই টিনশেড ঘরের চালার ফাঁকফোকর দিয়ে পানি এসে ভিজিয়ে দেয় শ্রেণিকক্ষের আসবাবসহ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের। হালকা ঝোড়ো বাতাসেই দুলে ওঠে ঘরটি। বলতে গেলে, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের।
মহামারী করোনায় দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এনিয়ে কারো মাথাব্যথা ছিলনা। কিন্তু ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার ঘোষনায় জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-অভিভাবকগণ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে ,বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫২ জন। পাঠদানের জন্য তিনটি ভবন রয়েছে। যার একটি অনেক আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আর টিনশেড ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে এর বড় দুটি শ্রেণি কক্ষ। অবশিষ্ট একটি দ্বিতল ভবনের ছয়টি কক্ষ। যার নিচতলার একটি অফিস কক্ষ, একটি বঙ্গবন্ধু কর্ণার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্লাশের জন্য রয়েছে মাত্র চারটি শ্রেণিকক্ষ। দোতলার তিনটি কক্ষ নিচ তলার একটি। মাত্র চারটি কক্ষে ৫৫২জন শিক্ষার্থীকে ক্লাশ করানো সম্ভব নয়।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদ মাহামুদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পুরোনো টিনশেড ঘরে ক্লাস করতে অনেক সমস্যা হয়। গরমের দিনে গরম আবার বৃষ্টির দিনে ভিজতে হয়।
স্থাণীয় অভিভাবক নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এর শ্রেণি কক্ষ নিয়ে কোন মাথাব্যথা ছিলোনা কারো। স্কুল খোলার ঘোষনায় উদ্বিগ্নতা দেখা দিয়েছে। টিনের ঘরটি অকেজো হয়ে পড়েছে। পাঁকা দোতালার চারটি কক্ষে এতো শিক্ষার্থীকে পাঠদান সম্ভব নয়। আর শ্রেণি কক্ষ সংকট থাকায় এখানে স্বাস্থ্যবিধিও মানতে পারবে না শিক্ষার্থীরা।
রাশিদা বেগম নামে এক অভিভাবক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সামান্য দমকা বাতাসেই দুলতে থাকে বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘরটি।বৃষ্টি হলে শ্রেনীকক্ষ পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। পাকা ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে।কিন্তু
কোন ফল পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, শ্রেণি কক্ষ সংকটে এবং টিনসেডটি জরাজীর্ণ অবস্থার কথা উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে। ‘ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি। কারণ প্রতিষ্ঠানটির টিনশেড ঘরটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় দুই শিফটে ক্লাস নিতে হয়। ফলে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে কিছুটা অসুবিধা হয়। এছাড়া বাথরুম ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থাও অপ্রতুল। করোনার পরে স্কুল খুললেও একই সমস্যায় পড়তে হবে স্কুলটির ছাত্রছাত্রীদের।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম রেজাউল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.