নাটোরের গুরুদাসপুরে কালভার্ট ভেঙ্গে ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের আনন্দ নগর মহল্লায় একটি রাস্তার বক্স কালভার্টের স্লাবের অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে দুর্ভোগে পরেছে ৬টি গ্রামের সাধারণ মানুষ। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় ঝুকিপুর্ন ওই কালভার্ট দিয়ে চলাচল করছে পথচারী যানবাহন ও এলাকা বাসী।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আনন্দ নগর মহল্লার সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের উত্তর দিকে আব্দুল মতিনের বাড়ির সামনে হ্যারিংবন্ড রাস্তায় একটি কালভার্টের স্লাব ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মাটির বস্তা ফেলে ঝুকি নিয়ে চলাচল করলেও যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ক্ষতিগ্রস্থ কালভার্টটি দিয়ে বাঘমারা বিলের পানি প্রবাহের একমাত্র মাধ্যম ও অনন্ত ৬টি গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল আনা নেয়ার রাস্তা। কালভার্ট ভেঙ্গে পরায় আনন্দ নগর, কালাকান্দর, খুবজীপুর, খলিফাপাড়া গ্রামের কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা তাদের মাঠের জমির ফসল উৎপাদন ও ঘরে তোলা নিয়ে দুুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
গুরুদাসপুর পৌর সদরের কালাকান্দর গ্রামের কৃষক মোঃ মোবারক হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, বাঘমারা, বাহান্ন বিঘা, লজরের খাপালসহ ৫/৬টি মাঠের অন্তত ২ হাজার বিঘা জমির উৎপাদিত ফসল ওই পথেই আনা নেয়া করা হয়। কালভার্টটি ভাঙ্গা থাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। জমি চাষ, ট্রাক্টর, ট্রলি, সেচযন্ত্র পরিবহন এমন কি হাটা চলাচলেও বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের।
আনন্দ নগর মহল্লার কৃষক মোঃ শফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, দু বছর আগে পুকুর খননের মাটি বহনের অভারলোড ট্রাকের কারনে কালভার্টটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা সংস্কার করে দেবার কথা বলে তা না করেই চলে গেছে। এছাড়াও এই রাস্তা দিয়ে স্কুলগামী শিশুরা ঝুকি নিয়ে চলাচল করে। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর পৌর মেয়র মোঃ শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা বিটিসি নিউজকে বলেন,কালভার্টের দুরাবস্থার কথা শুনে পৌর প্রকৌশলী সরোজমিনে পাঠান। তিনি পরিদর্শন করে এসেছেন। আগামী টেন্ডারে সংস্কার কাজ অর্ন্তভুক্ত করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.