নতুন সড়ক পরিবহণ আইন : সব দোষ মোটর সাইকেলের?

নিজস্ব প্রতিবেদক:  সম্প্রতি নতুন পরিবহন আইন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বা সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য এই আইন এমনটি বলা হচ্ছে। এতে মোটর সাইকেলে হেলমেট ব্যবহার না করলে ২০,০০০/-টাকা জরিমানা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে জরিমানা ২৫,০০০/-টাকা

কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সড়ক বা মহা সড়কে শুধু কি মোটর সাইকেল চলে? আরো অনান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে কেন কঠোর আইন করা হচ্ছে না। একটি মোটর সাইকেলে একজন বা দুজনের জীবন নির্ভর করে।

অন্যান্য যান গুলি? যেমন ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা,নসিমন,করিমন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ৫/৭ জনের জীবন নির্ভর করে।

সেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বালাই নেই। যান্ত্রিক হোক আর ব্যাটারি চালিত হোক যেখানে ৭ জন মানুষের জীবন একজন চালকের হাতে। তাহলে কেন তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়টি উপেক্ষা করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে হরোগ্রাম নিবাসী ব্যাবসায়ী রকিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন ২জনের জীবনের থেকে ৭ জনের জীবন বেশি গুরুত্তপূর্ণ। অবশ্যই অটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্য করা উচিত।

এডভোকেট নাজবুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন যেহেতু অটো ইঞ্জিন চালিত যানবহন না তাই বিষয়টির দেখভালের দায়িত্ব বি আর টি এ এর আওতায় না। তবে সিটি কর্পোরেশন যেহেতু রোড পারমিট দিচ্ছে তাই ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে তাদেরই উদ্যোগ নেয়া উচিত।

একজন ট্রাক ব্যাবসায়ী বিটিসি নিউজকে জানান লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করে সরকারকে কর দিয়ে আমরা ব্যাবসা করছি। অথচ ভুটভুটি জাতীয় salo ইঞ্জিন চালিত গাড়ি গুলি আমাদের ব্যাবসায় হক নষ্ট করছে। যারা সরকারকে কোন কর প্রদান করে না। তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর আইন প্রয়োগ করে না বা আইন নাই।

আশির দশক বা নব্বই দশকে সাইকেল ছিল প্রচুর। পিয়ন থেকে শুরু করে অনেক উচ্চ প্রফেশন এর লোকজনও সাইকেল নিয়েই চলাফেরা করত । এখন মানুষের তথা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত হওয়ায় সাইকেলের জায়গায় চলে এসেছে মোটর সাইকেল। ক্ষুদ্র লেবার থেকে শুরু করে উচ্চ স্তর পর্যন্ত মোটর সাইকেল ব্যাবহার করছে। তাই কি করে মোটর সাইকেল ব্যাবহারকারীর পকেট থেকে টাকা বাহির করা যায় নতুন আইন তার একটি উদাহরণ মাত্র।

রাজশাহী মহানগর সহ সারা বাংলাদেশে শহর গুলিতে সাধারণ জনগণের একমত বহন অটো রিকশা। অথচ তাদের ক্ষেত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়নি।

এমন দেখা যায় ১৮ বছর বয়স হয়নি এরকমও অটো চালক দেখা যায়। কোন অটো চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। শহর থেকে একটু দূরে প্রতন্ত অঞ্চলে গেলে দেখতে পাওয়া যায় নসিমন,করিমন জাতীয় অসংখ্য যানবাহন। salo ইঞ্জিন দিয়ে লরি বা মিনি ট্রাক করে ফেলা হয়েছে। বিকট শব্দে এরূপ বাহণকে ইট,বলি,গরু ইত্যাদি পরিবহন করতে দেখা যায়।

সূর্যের আলো ফুটে ওঠার আগেই এরা শহরেও ঢুকে পড়ে।না আছে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স,না আছে তাদের রেজিঃ।

ট্রাক বাস মালিক সমিতি এইসব বহন বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করেও কিছু করতে পারেনি।

একজন মোটর সাইকেল চালক বিটিসি নিউজকে বলেন মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে রাস্তায় নামলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলির আমাদের প্রতি তাদের আচরণ দেখে মনে হয় আমরা কোন অপরাধ করছি। মোটর সাইকেল চালানো কি অপরাধ?

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.