নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশের জন্মের সঠিক ইতিহাস না জানা জাতি বেশিদূর এগোতে পারে না। সেজন্য নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
আজ শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ক্লাবে মুজিবনগর এবং বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা-কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির দশম সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ রাখে সেজন্য পাঠ্যসূচিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথার পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের ঘৃণ্য তৎপরতাও নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।
তিনি বলেন, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বর রাখার জন্য পিএসসিকে কয়েকবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসময়  বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর আরও গবেষণা করারও অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের একটি ছোট্ট অংশের বিচার হয়েছে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ছিল। অনেকে ছিল, যারা চিহ্নিত হয়নি। ইতিহাসের জন্য এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। কারও প্রতি আমাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। ইতিহাসের জন্যই আমরা সঠিক তথ্যটি খুঁজে পেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান সাধারণ কোনও নাগরিক ছিলেন না, তিনি যেভাবেই হোক রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কাজেই তার সে সময়ের কোনও ছবি থাকবে না, এটা হতে পারে না। জিয়াউর রহমানের লাশ কবরে থাকলে ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করতে বলে বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সংসদ ভবনের আশপাশ থেকে জিয়ার মাজারসহ মূল নকশা বহির্ভূত সকল স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি সংসদে বহুবার বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সংসদ ভবন এলাকা থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংসদ ভবনকে মূল নকশায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন-অর-রশীদ, শাহজাহান সিদ্দিকী, ও ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মসিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। মুজিবনগর এবং বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা-কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মুসা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.