নতুন তালেবান সরকার নিয়ে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। এই সরকারকে নিয়ে নানামুখী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স অবলম্বনে এই প্রতিক্রিয়াগুলোর মূল বক্তব্য তুলে ধরা হলো।
যুক্তরাষ্ট্র: নতুন তালেবান সরকারকে নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তারা জানিয়েছে, তারা তালেবান সরকারে কিছু ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তি এবং তাদের অতীত ইতিহাস নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই গোষ্ঠীকে কথা নয়, কাজ দিয়ে বিচার করা হবে। আফগান মাটি অন্য কোনো দেশকে হুমকি দিতে ব্যবহার করা হবে না- তা নিশ্চিত করতে হবে।
চীন: আফগানিস্তানের নতুন সরকার ও নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে চীন। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেইজিংয়ে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিং। এক প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বেইজিংয়ে প্রতিদিনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন ওয়েনবিং। চীন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে এই মুখপাত্র বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে।
তুরস্ক: এদিকে আফগানিস্তানের দিকে সতর্ক নজর রাখছে তুরস্ক। তালেবান সরকারকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, আমরা জানি না এই অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা কতদিন স্থায়ী হবে।
কাতার: কাতারের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোলওয়াহ আল-খাতার জানিয়েছেন, তালেবান বাস্তববাদী কাজ করছে। তাদের কার্যক্রমগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তালেবানই আফগানিস্তানের প্রকৃত শাসক।
জাতিসংঘ: জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে- কেবল আলোচনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নিষ্পত্তির মাধ্যমেই আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি আনা সম্ভব।
জাতিসংঘের নারী সংস্থা: জাতিসংঘের নারী সংস্থার প্রধান প্রমিলা প্যাটেন বলেছেন, আফগানিস্তানের নতুন সরকার থেকে নারীদের বাদ দেওয়া তালেবানের ‘নারী অধিকার রক্ষা ও সম্মান’-এর প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.