নওগাঁ ৫ আসনে জনের চেয়ে সম্পদে এগিয়ে আব্দুল মালেক

নওগাঁ প্রতিনিধি: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন নওগাঁ-৫ আসন (সদর) থেকে মরহুম আব্দুল জলিলের ছেলে জেলা আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, জেলার ইয়াং বাংলা অর্গানাইজার ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক। গত ২৮ নভেম্বর তারা দুজনে জেলা রির্টানিং কর্মকতা ও জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামা জমা দিয়েছেন। গত ২ তারিখে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই তাদের দু’জনের কাগজপত্র সঠিক বলে বিবেচিত হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারকে জমা দেয়া হলফনামায় নিজাম উদ্দিন জলিল জন তার সর্বচ্চো শিক্ষাগত যোগত্যা ব্যারিষ্টার বলে উল্লেখ্য করেছেন। তার স্থাবর কোন সম্পদ নাই। তবে তিনি দেনাদার। এক্সিম ব্যাংক থেকে ৬ কোটি ৭০ লাখ ২৮ হাজার ৭০৩ টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে। তিনি আইন পরামর্শ দিয়ে বাৎসরিক আয় করেন ১২ লাখ টাকা ও অন্যান্য থেকে ৪ হাজার ৭৬৭ টাকা। এছাড়া তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে- নিজ নামে ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ১৩৯ টাকা ও অন্যান্য থেকে ৪০ হাজার টাকা।

অপরদিকে, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা আব্দুল মালেক নিজেকে বিএসসি পাশ বলে উল্লেখ করেছেন। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামায় তিনি স্থাবর সম্পদ উল্লেখ করেছেন, কৃষি জমির পরিমাণ চার দশমিক ১৬৫ একর। যার মূল্য ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। পৈত্রিক সূত্রে বাড়ী ভিটা আট কাঠার মূল্য ২৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এ্যালোটেড বাড়ী (সমবায় ব্যারাক নওগাঁ) মূল্য ১ লাখ টাকা। তবে তিনি দেনাদার। সন্তানের নিকট থেকে দায় ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া স্ত্রীর নামে আছে পাঁচ বিঘা কৃষি জমি।

অস্থাবর সম্পদের ধরনে তিনি উল্লেখ করেছেন, নিজের নগদ টাকা রয়েছে- ৯ লাখ ১৪ হাজার ৬৪২ টাকা, স্ত্রী ২৯ লাখ ২৫ হাজার ৩শ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে এক কোটি ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৪ টাকা, স্ত্রীর নামে ২৮ লাখ ৫৫ হাজার ৩শ টাকা, নিজের একটি জীপ গাড়ীর মূল্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার এবং স্ত্রীর নামে ১০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার থাকলেও মূল্য উল্লেখ করা হয়নি।

এছাড়া নিজের নামে ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ও ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭০ টাকার ইলেকট্রনিক ও ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে বলেও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়।

হলফনামায় আরো উল্লেখ রয়েছে- কৃষি খাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ৭০ হাজার টাকা, স্ত্রীর আয় ২৬ হাজার ৫০০ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৬ লাখ ৬০ হাজার ও ঠিকাদারী থেকে ২১ লাখ টাকা, স্ত্রী ব্যবসা থেকে আয় ৭ লাখ ২০ হাজার। নিজের শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র না থাকলেও স্ত্রীর সঞ্চয়পত্র থেকে আয় ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া সংসদ সদস্য হিসাবে পরিতোষিক আয় ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও কর অব্যাহতি ভাতাদি ১৭ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, মৎস্য থেক ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। স্ত্রীর অন্যান্য থেকে আয় ১ লাখ ৪০ হাজার ১৩২ টাকা।

এছাড়া জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু হলফনামায় নিজেকে বি.কম পাশ বলে উল্লেখ করেছেন। তার নামে নওগাঁ আমলী আদালতে মামলা বিচারাধীন এবং বিশেষ আমলী আদালত (বিদ্যুৎ) রাজশাহী খালাস পেয়েছেন বলে হলফনামা লিখেছেন। বাৎসরিক ব্যবসা খাত থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং তার উপর নির্ভরশীলদের আয় ২ লাখ টাকা আয়।

তিনি হলফনামায় স্থাবর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সাড়ে ৪কাঠার উপর ৩ তলা ১টি বাড়ী। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ নিজের স্বর্নালংঙ্কার ১৫ ভরি ও স্ত্রীর ২৫ ভরি। তবে কোন মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া নিজের নামে ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক ও ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং স্ত্রীর নামে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নওগাঁ প্রতিনিধি মো: আব্বাস আলী।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.