দুপুর ১২ টায় শুরু হয়ে গেল বিজিপির মিছিল নবান্নের উদ্দ্যেশ্যে

কলকাতা প্রতিনিধি: জীবাণুমুক্ত করার জন্য আজ এবং আগামিকাল অর্থাৎ ৮ ও ৯ অক্টোবর বন্ধ থাকবে নবান্নর দরজা। এই পরিস্থিতিতে এসএসসি, টেট, রাজ্যে বেড়ে চলা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ইত্যাদি অভিযোগকে হাতিয়ার করে আজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিচ্ছে বিজেপি।

সূত্রের খবর ৫০ হাজার বিজেপি সদস্য পথে নামতে পারে। কোনও কর্মী থাকছে না নবান্নে, এই পরিস্থিতিতে সচিবালয় ঘেরাও কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।

বিজেপি যে ৭ দফা দাবিতে নবান্ন অভিযান করবে তা হল- ( ১) এসএসসি /টেট এর দুর্নীতির বিরুদ্ধে৷ (২) স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া ৷ (৩) বেকার ভাই- বোনদের চাকরির ব্যবস্থা করতে ৷ (৪) পরীক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা বাড়াতে ৷ (৫) পিএসসি কে দূর্নীতিমুক্ত করতে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সরলীকরণ করতে ৷ (৬) ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়া বন্ধ করতে ৷ (৭) বেকার যুবকদের ভাতা নয়, চাকরির দাবিতে ৷

বিজেপি সূত্রে খবর মিছিল শুরু হয়ে গেছে দুপুর ১২টা নাগাদ। বিজেপি সদর দফতর থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরে তা যাবে মহত্মা গাঁধী রোডের দিকে। এই মিছিলের পুরোভাগে থাকবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দীলিপ ঘোষ।

এছাড়াও অন্যান্য দিক থেকেও মিছিল নিয়ে আসবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের।

ইতিমধ্যেই মিছিলগুলি আটকাতে প্রসল্তুতি নিতে শুরু করেছে হাওড়া ও কলকাতা পুলিশ। থাকছে পর্যাপ্ত ব্যারিকেড। কোথায় কোন মিছিল আটকানো হবে, তৈরি হয়েছে তার ব্লু প্রিন্ট। থাকছে জলকামানও।

এক নজরে রইল মিছিলের রুট –

# প্রথম মিছিল–রাজ্য বিজেপির সদর দফতর থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গাঁধী রোড,হাওড়া সেতু,ফোরশোর রোড হয়ে নবান্ন ৷

# দ্বিতীয় মিছিল –হেস্টিংস থেকে পুলিশ ট্রেনিং স্কুল,বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে নবান্ন ৷

# তৃতীয় মিছিল–সাঁতরাগাছি বাসস্টান্ড,কোণা এক্সপ্রসওয়ে হয়ে নবান্ন ৷

# চতুর্থ মিছিল–হাওড়া বঙ্গবাসী মোড় থেকে জি টি রোড,হাওড়া পুলিশ লাইন,কাজিপাড়া মোড় হয়ে নবান্ন ৷

দলের রাজ্য দফতর থেকে যে মিছিল শুরু হবে,তার নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হেস্টিংসের মিছিলের দায়িত্বে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, হাওড়া ময়দান থেকে মিছিলের সামনে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য ও রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান এবং সাঁতরাগাছির মিছিলে থাকবেন সায়ন্তন বসু ৷

রাজ্য সরকারের তরফে বিজেপির যুব মোর্চাকে করোনা আবহে এই এত লোকের সমাবেশ করতে না করা হয়েছে। যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইনই। যেখানে স্পষ্ট বলা রয়েছে একশো জনের বেশি জমায়েত চলবে না। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বুধবারই বলেছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে মিছিল সমেবশ চলবে না। সে কথাও স্মরণ করানো হয়েছে। বুধবার সন্ধেতেই এই চিঠি যুব মোর্চার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। চিঠিতে চিড়ে না ভিজলে লাঠি, কাঁদা গ্যাস জলকামান নিয়ে তৈরি থাকছে পুলিশ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়।#                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.