দামুড়হুদায় নদীর বুকে বাঁশের বাঁধ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধণ : প্রশাসন নীরব ভূমিকায়

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)  প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা নদী। এসব নদীর পানির প্রবাহে উপজেলার হাওর, বিল, জলাশয়ে দেশীয় মাছসহ বিভিন্ন প্রাণীর বংশবৃদ্ধি হয়। তবে নদীগুলোর বুকে বাঁশের বাঁধ দেয়ায় হুমকীর মুখে পড়েছে মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়াসহ জলজ প্রাণীর প্রজনন।

উপজেলার ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা নদী পলি জমে খালে পরিণত হয়েছে। এসব নদীতে মুক্ত মাছ শিকার ও পানি কৃষির সেচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে একটি অসাধু মহল নদীগুলোতে বাঁশের বাঁধ দিয়ে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার ও কারেন্ট জাল পুঁতে জলজ প্রাণী ধরছে। ফলে মাছের অবাধ বিচরণ ও পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়া খাঁচায় আটক হচ্ছে মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়াসহ জলজ প্রাণী। শিক্ষক শরীফ উদ্দীন ও সহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর আগে ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা  নদীতে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মাছ পাওয়া যেত।

এখন আগের মত দেশী মাছ নেই। মাছ ধরা জেলে লক্ষন হালদার ও ভরত হালদার বিটিসি নিউজকে বলেন, নদীর স্থানে স্থানে বাঁশের বাঁধ দেয়ায় মাছ উজানে উঠতে পারছে না।

এছাড়া বাঁশের বাঁধ স্থাপন করে মাছ শিকার করলেও প্রশাসনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা অনেকবার অভিযোগ করেছি। কোন সুরাহা পাইনি। তবে অবৈধ পন্থায় মাছ শিকারের ফলে দেশীয় মাছ দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে।

দামুড়হুদা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো.সেলিম রেজা বিটিসি নিউজকে বলেন, নদীতে বাঁশের বাঁধ দেয়ার অভিযোগ আসেনি। তবে সরেজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক বাঁধ অপসারণ করা হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.