দামুড়হুদায় উচ্চশব্দে মাইকিংয়ে প্রচার-প্রচারণার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা বাজারে  সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উচ্চশব্দে মাইকের মাধ্যমে চালানো হয় প্রচার-প্রচারণা। উপজেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মাইকিং করার যন্ত্রণায় অতিষ্ট কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ীরা। ইজিবাইকে দুইটি মাইক বেঁধে, আবার কখনো ভ্যানে করে উচ্চশব্দে দিনরাত চলে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা।
এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রচারণা, রয়েছে নতুন দোকান স্থাপনের প্রচারণা, নতুন ধানের জাত, শাক-সবজির বীজ, ঢাকাগামী পরিবহনের স্পেশাল সার্ভিস, বিশাল গরু-মহিষ জবাই, বিভিন্ন ব্যাটারী ক্রয়-বিক্রয়, মোটরসাইকেলের অফার, বিভিন্ন অফারের সিম বিক্রি, হোটেলের নতুন নতুন খাবার, কম মূল্যে লাইট বিক্রিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারণা।
চিকিৎসকের মতে, মানুষের জন্য শ্রবণের সহনীয় মাত্রা ৪০-৫৫ ডেসিবেল। তবে এই মাত্রা যদি ৭০  ডেসিবেলের অধিক হয় তাহলে তা শ্রবণ ক্ষমতার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরক।
এ প্রসঙ্গে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্ ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘উপজেলায় প্রায় প্রতিদিন যে মাইকিং করা হয়, এসকল মাইকিংয়ের শব্দের মাত্রা মানুষের সহনীয় ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। এই অসহনীয় শব্দ বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। এভাবে উচ্চ শব্দে মাইকিং চলতে থাকলে, পর্যাক্রমে উপজেলার স্বাস্থ্য ঝুঁকি দিনদিন বৃদ্ধি পাবে। এক পর্যায়ে শ্রবণ সমস্যাসহ হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ।’
এদিকে মসজিদ,হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যেসব স্থানে মাইকিং বন্ধ রাখার নিয়ম রয়েছে, তাও মানছে না কেউ। সরকারের বিধিমালা গেজেট আকারে বিভিন্ন জায়গায় সহনীয় ডেসিবেল এর মাধ্যমে মাইকিংয়ে প্রচার-প্রচারণার কথা বলা থাকলেও তারা কোন কিছুই না মেনে দিনরাত একইভাবে চলাই মাইকিং।
দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও জনসাধারণের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তারা বিটিসি নিউজকে জানান, কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মাইকিংয়ে প্রচার-প্রচারণা অনেক বেশি। মাইকিংয়ের উচ্চ আওয়াজের কারণে ক্লাসে পাঠদানে সমস্যা হয়। মাইকের শব্দে মুঠোফোনে ঠিকমতো কথাও বলা যায় না। নিয়মনীতি না মেনে মাইকিংয়ের এমন উচ্চ শব্দের প্রতিকার চেয়েছেন অভিজ্ঞ সচেতন নাগরিক ও শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘সাধারণ জনগণের সমস্যা করে কোন প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না। যারা নিয়ম না মেনে মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.