দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে কসমেটিক্স দোকান গুলোতে নকল ও ভেজাল প্রসাধনী সয়লাব

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে বেশী লাভের আশায় বিভিন্ন নামি-দামি বিদেশী ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল প্রসাধনী তৈরী ও বাজারজাত করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
প্যাকেট, টিউব, রঙ সবই আসলের মতো কিন্তু তা চেনার কোনো উপায় নেই। আর এসব পণ্য বেশী দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
এছাড়া অনেক ক্রেতারা দাম কম ভেবে এগুলো কিনছেন কিন্তু এর ব্যবহার করে অজান্তে নিজেরই ক্ষতি করছেন। এবং কোন কোন দোকানীর কাছে ক্রেতারা কখনো অভিযোগ করে তা তাকে বলা হয় কোম্পানী যা দিয়েছে তাই বিক্রি করা হচ্ছে।
ফলে ক্রেতা আর কোন প্রশ্ন করার সুযোগ পায় না। তারা সঠিক দাম দিয়ে কিনে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এদিকে কার্পাসডাঙ্গা বাজারে হারুন স্টোর খাদ্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন জেলা কার্যালয়ে সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকার বিভিন্ন ব্যান্ডের নকল প্রসাধনী জব্দ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ সময় নামি-দামি দেশী-বিদেশী কোম্পানীর নয় প্রকারের বিপুল পরিমাণ নকল কসমেটিকস সামগ্রী জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ভারতীয় পতেঞ্জলি কোম্পানীর বিভিন্ন কসমেটিকস বেশী জব্দ করা হয়।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, এসব প্রসাধনী ব্যবহারে চর্মরোগ, স্কিন ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগের প্রবণতা বাড়ছে।
জানা গেছে,উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে বিভিন্ন যায়গায় গড়ে উঠা দোকান গুলোতে বেশী মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে দোকানীরা নকল প্রশাধনী সুন্দরভাবে থাকে থাকে সাজিয়ে রাখছেন। ফলে প্রসাধনীর দোকান গুলোতে চাকচিক্যভাবে শোভা পাচ্ছে এসব পণ্য।
এগুলো ব্যবহার করে মানুষ চর্ম রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। প্রতিনিয়ত সাবান, লিপিস্টিক, নেইল পলিশ, বডি স্প্রে, সুগন্ধি, লোশন, নারিকেল তেল, বিভিন্ন ব্যান্ডের মেহেদি, আফটার সেভ লোশন, সেভিং ক্রীম,টুথপেসসহ বিভিন্ন ধরনের রূপ ও ত্বক চর্চার প্রসাধনী পণ্য নকল ও ভেজাল হচ্ছে।
ফলে ভুক্তভোগীরা এসব নকল কসমেটিকস সামগ্রী কিনে দিনের পর দিন প্রতারিত হচ্ছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.