থানায় অভিযোগ : আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ডেলিগেট হওয়া নিয়ে নাটোরে মারপিট


নাটোর প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ডেলিগেট কেন করা হয়নি যানতে চাওয়ায় নাটোরে মারপিট করায় থানায় অভিযোগ করেছেন নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং স্থানীয় দৈনিক বারবেলা পত্রিকার সম্পাদক এ্যাডভোকেট আলেক শেখ।

আজ শুক্রবার নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন বিটিসি নিউজকে জনান, তিনি এমন একটি অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছেণ। তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

আলেক শেখের ওপর হামলা ও মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তিনি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে একই পদে তিনি চুন্নুর বিরুদ্ধে একজন জোরালো প্রতিদন্দি প্রার্থী ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ডেলিগেট হওয়া নিয়ে বুধবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের একটি মিটিং চলছিল। এসময় জাতীয় সম্মেলনে কাদের কে ডেলিগেট করা হয়েছে এবং তালিকায় তার (অলেক শেখ এর) নাম নাই কেন নেই এবিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

এমন সময়ে নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিটিসি নিউজকে বলেন “তুই কে যে তোর নাম রাখতে হবে” এনিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে চুন্নু তার উপর হামলা চালিয়ে উপর্যপুরী মারপিট করে আহত করে। এ সময় সেখানে থাকা সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে তিনি প্রাণে রক্ষা পান বলে দাবি করেন।

পরে তিনি নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় তিনি দলের সভানেত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে বিচার দাবী করেন। আলেক শেখ বলেন, চুন্নু জাতীয় পার্টি থেকে দলে অনুপ্রবেশ করে বিশৃংখলার সৃষ্টি করছেন। এছাড়া চুন্নু তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কারনে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে তিনি নাটোর সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তিনি আশা করেন ওই অভিযোগটি হত্যাপ্রচেষ্টা মামলায় পরিনত হবে।

এদিকে, এ্যাডভোকেট আলেক শেখ কে মারপিটের ঘটনায় প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে দলের সিনিয়র নেতাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির একাধিক নেতা বলেন, আলেক শেখ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হানিফ আলী শেখের আপন ছোট ভাই। একজন প্রকৃত আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও হাইব্রীড নেতার হাতে তাকে মার খেতে হয়েছে। এর চেয়ে আর লজ্জার কিছু নেই।

আলেক শেখকে মারপিটের মধ্যে দিয়েই প্রমান হয় হাইব্রীড নেতারা দলের বিশৃংখলা তৈরীর জন্য প্রবেশ করেছেন।

তবে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু বিটিসি নিউজকে বলেন, যারা পদাধিকার তাদেরকেই ডেলেগেট করা হয়েছে। আলেক শেখের দলীয় কোন পদ না থাকায় তাকে তালিকা ভুক্ত করা হয়নি।

এনিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে আলেক শেখ তাকেই মারতে উদ্যত্ত হয়। এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে, তাকে কোন মারপিট করা হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.