তারেক রহমান দেশে ফিরলে আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন : মওদুদ আহমেদ

 

 

ঢাকা প্রতিনিধিআজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, তারেক রহমান যখন দেশে ফিরে আসবেন, তখন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন। আদালত থেকে জামিন নেবেন। তিনি উচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। এই মামলা প্রত্যাহার হবে। রায়ও বাতিল হবে।

মওদুদ বলেন, আমরা এ ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা করেছিলাম। কিন্তু আজ এক বিতর্কিত রায়ের মাধ্যমে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার বিচারকে বিতর্কিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা ঘটনার পর ইন্টারপোলের মাধ্যমে তদন্ত করেছিলাম। এফবিআই ঢাকায় এসেছিল। মুফতি হান্নানও প্রথমে এই হামলা একক সিদ্ধান্তে করেছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। কোনো তদন্ত বা স্বীকারোক্তিতেই কিন্তু কখনো তারেক রহমানের নাম আসেনি।

বরং সেই সময় বিদেশি তদন্তকারীরা বলেছেন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা তখন তাদের সহযোগিতা করেননি। এখন তারা বড় বড় কথা বলে বেড়ান। এমন কি সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর জিপে তখন হামলা হয়েছিলো (গুলি) বলে দাবি করা হয়েছিলো। কিন্তু ফৌজদারি আইন অনুযায়ী সেই গাড়ি আলামত হিসেবে থানায় থাকার কথা থাকলেও তা না দিয়ে আলামত নষ্ট করা হয়েছে।

সাবেক এ আইনমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই হামলার তদন্ত করেছিলো। সেখানেও তারেক রহমানের নাম আসেনি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুফতি হান্নানকে অমানসিক অত্যাচার করে তারেক রহমান জড়িত বলে স্বীকারোক্তি নেয়। মুফতি হান্নান পরে আদালতে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন করেন।

বিএনপি নেতা বলেন, দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। সারাদেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই ঐক্যের মাধ্যমেই এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের রায় কার্যকর করা হবে।

মওদুদ আহমেদ সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় পার্টি সমাবেশ করে, ওয়ার্কার্স পার্টি সমাবেশ করে, চরমোনাই সমাবেশ করে। অথচ আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। এভাবেই সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা মুঠোবন্দি করে রেখেছে। সিলেটে সমাবেশের জন্য প্রথমে অনুমতি দেওয়া হলো, এখন তা বাতিল করা হলো। পরিবর্তে অকথ্য ভাষায় আমাদের আক্রমণ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যতোই আমাদের সমালোচনা করবে, ততই প্রমাণিত হবে বিএনপি সঠিক পথে আছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.