তানোরের মালবান্ধা স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউপির প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠ মালবান্ধা স্কুলের একাডেমিক ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক ভবনের কোনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। স্থানীয় এলাকার শিক্ষানুরাগী সচেতন মহল, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দ্রুত ভবন সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

জানা গেছে, বিগত ১৯৭৩ সালে তানোরের কলমা ইউপির মালবান্ধা গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মালবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয় এবং ১৯৯৫ সালে এমপিওভুক্তকরণ ও একই বছর একটি একতলা পাকা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ১৬জন এবং শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩৬ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য ও একজন অকৃতকার্য হয়েছে পাশের হার শতকরা ৯৯ শতাংশ।

কিন্তু ভবন নির্মাণের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সংস্কার না করায় ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের দেয়ালে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি ও ছাদের পলেস্তার খসে পড়ছে এবং বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। অপ্রিয় হলেও সত্যি বিদালয়টি গ্রামীণ জনপদে শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক অবদান রাখলেও সরকারীভাবে তেমন কোনো সাহায্য-সহযোগীতা পায়নি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হবার পর প্রত্যন্ত ও অবহেলিত গ্রামীণ জনপদের অধিবাসিদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের (ছেলে-মেয়ে) মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে এবং গ্রামীণ পরিবেশেও শহরের মতো আধূনিক পাঠদান দিয়ে অন্যদের কাছে মডেল হয়ে উঠেছে মালবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়।

সভাপতি ময়না বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রাচীর ও শহীদ মিনার নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেছেন। তবে এখানো একাডেমিক ভবনের সংস্কার করতে না পারায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিদ্যালয়ের অত্যন্ত মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশ, নেই কোনো হৈ-হুল্লোড় আশপাশেও নেই কোনো কোলাহল একদম নিরব-নিস্তব্ধ। গ্রামীণ পরিবেশ তবে শহরের মতো আধূনিক মানসম্মত পাঠদানের কোনো কমতি নেই। শহরের নামি-দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানের যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকে তার যেনো পুরোটাই রয়েছে এখানে। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে একদল দক্ষ, সৎ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী। যারা মানসম্মত আধূনিক পাঠদানের মাধ্যমে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জনে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দীনের প্রচেস্টায় অভিভাবক-শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ব্যবস্থাপনা কমিটি সকলের সমন্বয়ে ও সার্বিক সহায়তায় বিদ্যালয়ের যেই সম্ভবনা তৈরী হয়েছে তা বিরল। এসবের ফলে সম্ভব হচ্ছে শতভাগ উপস্থিতিতে টেকশই পাঠদান মূল্যায়ন এবং আন্তঃস্কুল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক পর্যায়ে স্বপ্ন বিনির্মাণ। উন্নত ও বাস্তব সম্মত শিক্ষার জন্য চলছে, প্রশিক্ষণ ও বিশ্লেষণ। সভাপতি ময়না ও প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিনের প্রচেস্টায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে উপজেলার স্বনামধন্য একটি বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দীনের পাঠদান পদ্ধতি ও শিক্ষার্থীদের বোঝানোর ক্ষমতা অতুলনীয় অনেক কঠিন বিষয় তিনি অতি সহজেই শিক্ষার্থীদের বোঝাতে সক্ষম। ফলে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি সহজেই অতি আপনজন হয়ে উঠেছে।

এব্যাপারে মালবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দীন বিটিসি নিউজকে বলেন, এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী মহোদয় এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার আন্তরিক সহযোগীতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মালবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়কে তিনি গড়ে তুলতে চান, আর এজন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বিটিসি নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে আশা করছি আগামি কিছুদিনের মধ্যেই একাডেমিক ভবন সংস্কার করা সম্ভব হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি মোহাফিজুল ইসলাম।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.