ডিসেম্বরে হবে ‘ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২০’, চুক্তি স্বাক্ষর


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ডিসেম্বরে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে প্রদান করা হবে ‘ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২০’। ১৫তম এ আসরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঐক্য ফাউন্ডেশন। এ অনুষ্ঠানে সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ‘আজীবন সম্মাননা’ ছাড়াও এবার প্রদান করা হবে মোট ১৪টি ক্যাটাগরিতে সমালোচক পুরস্কার। এ আসরের প্রকল্প পরিকল্পক ও পরিচালক ইজাজ খান স্বপন। এ উপলক্ষে চ্যানেল আই ভবনে আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্প পরিকল্পক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফরিদা পারভীন, ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীন আকতার রেনী ও পরিচালক সুরাইয়া আলমসহ সংগীতের গুনীজনরা। সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য ও চ্যানেল আইয়ের মধ্যে ‘মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চ্যানেল আই এর পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অনুষ্ঠান প্রধান ইজাজ খান স্বপন এবং ঐক্য-এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীন আকতার রেনী। চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের স্বাগত বক্তব্য পাঠ করেন অপু মাহফুজ।

টেলিফোনে অংশ নিয়ে এ মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের সমৃদ্ধি কামনা করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বের মহা বিপর্যয়ের সময়কালে চ্যানেল আই দূরের অন্ধকারে একটু আলো জ্বালিয়েছে, তা দেখে নতুন জীবনের হাতছানির আশার আলো দেখছি আমরা।

ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীন আকতার রেনী বলেন, বৈশি^ক মহামারীর মধ্যে এই আয়োজন আজকের দিনটি অবশ্য চ্যানেল আই-ঐক্যের জন্য অবিস্মরণীয় সুন্দর ভালবাসার দিন। বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যেও চ্যানেল আইয়ের এই আয়োজন আমাদের মনকে প্রফূল্ল করেছে। শুদ্ধ সঙ্গীতের বিকাশে চ্যানেল আই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বিশেষ করে আমরা এসএমই উদ্যোক্তা নিয়ে কাজ করি ঐক্য ফাউন্ডেশন। চ্যানেল আই ঐক্য মিউজিক এক সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। সারা বাংলাদেশে ৮০ লক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা একসঙ্গে কাজ করছে। উদ্যোক্তাদের তৈরী পণ্য ঐক্য ষ্টোরের মাধ্যমে বাজার জাত করণে ঐক্য ফাউন্ডেশন কাজ করছে। মুজিববর্ষে এই আয়োজন প্রশংসনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোক্তা তৈরীতে আন্তরিক ভূমিকা রাখছেন।

তিনি আরো বলেন, এ উদ্যোগের ফলে আমরা যে, পৃথিবীর সংগীতের আলোর দিশারীর অংশীদার হতে পেরেছি তার জন্য চ্যানেল আইকে সাধুবাদ জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন সঙ্গীতশিল্পী অনিকা রায় ও যন্ত্রশিল্পী গাজী আব্দুল হাকিম।

পুরস্করের ক্যাটাগরিগুলো হলো: শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্র সংগীত, শ্রেষ্ঠ নজরুল সংগীত, শ্রেষ্ঠ লোকসংগীত, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও, শ্রেষ্ঠ কাভার ডিজাইন, শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, শ্রেষ্ঠ আধুনিক গান, শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড, শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী, শ্রেষ্ঠ ছায়াছবির গান, উচ্চাঙ্গসংগীত ও উচ্চাঙ্গসংগীত যন্ত্র। গত বছর আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন আধুনিক গানে রফিকুল আলম ও গণসংগীতে ফকির আলমগীর।

NEWS FROM Mostafij Misu. #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.