ডাচ্-বাংলার টাকা ছিনতাইয়ের ‘মাস্টারমাইন্ডকে’ গ্রেপ্তার, উদ্ধার আরও ৫৮ লাখ টাকা

বিশেষ প্রতিনিধি: দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল’সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ: রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মোহাম্মদ আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আকাশকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলছে ডিবি পুলিশ।
আকাশকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে নগদ ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মো. হৃদয় ও মিলন মিয়া নামে আকাশের দুই সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ নিয়ে ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে তিন দফায় ৭ কোটি এক লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হলো।
এর আগে শনিবার দুই কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ ইং দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।
এ সময় ডিবি প্রধান বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বে ছিল। কেউ ছিল পরিকল্পনাকারী, কেউ মোবাইল ও সিম সংগ্রহকারী, কেউ শুধুমাত্র ঘটনার সময় ভাড়াটে হিসেবে কাজ করেছে।
মূল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে ৪/৫ জন কাজ করে জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, এদের মধ্যে আকাশ ও সোহেল রানা ডাকাতির মূল ছক সাজায়। ডাকাতির মূল হোতা আকাশ টাকা লুটের পর মাইক্রোবাসে উঠতে না পারলেও সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ডিবি প্রধান হারুন জানান, আকাশ তার পূর্বপরিচিত ইমন মিলনের কাছে ডাকাতির বিষয়টি শেয়ার করে এবং তাকে এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাকেই মূলত জনবল সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়। ইমন মিলনের পূর্বপরিচিত সানোয়ারকে অবগত করে এবং জনবল যোগান, সিম সংগ্রহ ও মোবাইলফোন কেনার দায়িত্ব দেয়।
ডিবি প্রধান বলেন, সানোয়ার আটটি নতুন সিম এবং মোবাইল সেট জোগাড় করে এবং তার নিজ জেলা সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা থেকে ডাকাতির কাজে মোট নয়জন সদস্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তারা প্রত্যেকে ঘটনার দুইদিন আগে ঢাকায় এক হয়। পরিকল্পনাকারীরা তাদেরকে ঢাকায় এনে নতুন কাপড়ের জুতা কিনে দেয়।
মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ গণমাধ্যম কর্মীদের আরও বলেন, মাস্টারমাইন্ড আকাশ, সোহেল রানা, ইমন মিলন এবং সানোয়ারের কাছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা লুটের বিষয়টি গোপন রাখে।
তারা তাদেরকে জানায়, তারা কিছু অবৈধ হুন্ডির টাকা লুট করবে সেখানে প্রশাসনের লোক থাকবে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন সবাই একত্রিত হয়ে মাইক্রোবাসে উঠার পর বুঝতে পারে বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে। ডাকাতির পর মূলহোতা আকাশ মাইক্রোবাসে উঠতে না পারায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.