ডাকাতির পর গ্রেফতার এড়াতে মোবাইল পুড়িয়ে ফেলতো ওরা
ঢাকা প্রতিনিধি: গ্রেফতার এড়াতে ডাকাতি শেষে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত ফোন, জামা-কাপড় হয় পুড়িয়ে ফেলতো না হয় নদীতে ফেলে দিত। র্যাব-৪ এর হাতে গ্রেফতার হওয়া ডাকাত দলের ৩ জন সদস্য এমনটাই জানিয়েছেন।
আজ শনিবার (০৭ নভেম্বর) বেলা ১২টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিনায়ক মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা এর আগেও একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে। তারা জামিনে মুক্ত হয়ে একই কাজ বারবার করে।
তিনি বলেন, ‘ডাকাতির সময় নতুন মোবাইল ও সিম ব্যবহার করে তারা। ডাকাতি শেষে তাদের ব্যবহৃত জামা-কাপড়, মোবাইল সব পুড়িয়ে ফেলে বা নদীতে ফেলে দেয়। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের গ্রেফতার না করতে পারে।’ এই চক্রের আরও কয়েকজনের নাম পেয়েছে র্যাব। যাদের গ্রেফতারে কাজ করছে তারা।
গত ২৮ অক্টোবর আমিনবাজার এলাকায় ইতালি প্রবাসী আমানুল্লাহ (৪০) কে প্রকাশ্যে গুলি করে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাত চক্র। এই ঘটনায় সাভার থানায় একটি মামলা করে। র্যাব মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। গতকাল শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে সাভারের বিরুলিয়া থেকে ৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪। তারা হলো, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে স্যার (৩৮), নাসির ওরফে বস্তা (৩৮) ও আব্দুল বারেক শিকদার (৫৫)।
তাদের কাছ থেকে ১টি প্রাইভেটকার, ২টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১২ রাউন্ড গুলি, ১টি ছুরি, দু’টি লোহার পাইপ এবং ডাকাতির ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এই চক্রটির দলে ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। যার পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি করে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: মাসুদ রানা খন্দকার। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.