ট্রাম্পের বিচার চলাকালীন নিজের গায়ে আগুন দিলেন যুবক

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যানহাটানের একটি আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাশ-মানি মামলার বিচার চলছে। সেই আদালতের বাইরের চত্বরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এক যুবক। শুক্রবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় দুপুর ১ টার পর এই ঘটনা ঘটে।
নিজ দেহে অগ্নিসংযোগকারী ওই যুবকের নাম ম্যাক্সওয়েল আজারেল্লো। ফ্লোরিডার বাসিন্দা আজারেল্লো এক সপ্তাহ আগে নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন। নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তার পূর্ব অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই। তবে আজারেল্লো যে নিউইয়র্কে এসেছেন, তা ফ্লোরিডায় বসবাসরত তার পরিবারের সদস্যরার জানতেন না।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের প্রধান জেফ্রি ম্যাডরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে একটি ব্যাগ এবং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডামূলক পুস্তিকা-প্ল্যাকার্ড নিয়ে আদালত এবং সংলগ্ন পার্ক এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন আজারেল্লো। তারপর দুপুর ১ টার পর দিকে আদালত চত্বরের বাইরে ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থের বোতল বের করে নিজ গায়ে ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
ট্রাম্পের বিচার চলার কারণে আদালতে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিল। কর্তব্যরত পুলিশরা ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে অগ্নি নির্বাপক দিয়ে আগুন নিভিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা নেন। বর্তমানে ম্যানহাটানের একটি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটি চিকিৎসাধীন আছেন আজারেল্লো। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তার ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থ এবং কিছু পুস্তিকা-প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব পুস্তিকার সবই ষড়যন্ত্র তত্ত্বনির্ভর এবং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডামূলক এসব পুস্তিকা-প্রচারপত্রে মূল বক্তব্য— ট্রাম্প এবং বাইডেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ম্যাক্সওয়েল আজারেল্লোর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। আগুন দেওয়ার আগে অন্য কারো সঙ্গে বা সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে কোনো কথা বলেননি আজারেল্লো। ফলে ঠিক কী কারণে তিনি এভাবে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.