টেস্টে ফিরতেই হচ্ছে মুস্তাফিজকে

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে এবার আট ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৭ উইকেট পেলেও দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় একাদশ থেকে বাদ পড়েন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। দিল্লির সাইড বেঞ্চে বসে থাকা মুস্তাফিজকে নিয়ে আলোচনা থামছেই না দেশের ক্রিকেটে।
কাটার মাস্টারের টেস্ট খেলা-না খেলাবিষয়ক আলোচনা যেন ছাইচাপা আগুন হয়েই জ্বলছে। বিষয়টাকে বারবার উসকে দিচ্ছে পেসারদের ইনজুরি। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলামের ইনজুরির কারণে মুস্তাফিজের ওপর টেস্ট খেলার চাপ বাড়ছে। তাসকিন কাঁধের ইনজুরিতে, শরীফুল আঙুলের ইনজুরিতে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দুই টেস্টের সিরিজ থেকেও ছিটকে গেছেন।
দুই সেরা পেসারকে হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ দল। তাই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে লাল বলে না থাকলেও এই ফরম্যাটে মুস্তাফিজকে ফিরতেই হচ্ছে। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর কথায় স্পষ্ট, ক্যারিবিয়ানেই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরছেন ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ।
গতকাল চট্টগ্রামে এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘মুস্তাফিজের সঙ্গে আগামী সিরিজ নিয়ে আমার কথা হয়েছে। মুস্তাফিজকে টেস্ট দলে অবশ্যই প্রত্যাশা করি। খেলোয়াড়দের সেরা মুহূর্তে দলে অবশ্যই দরকার। যদি দরকার হয় অবশ্যই ওকে ডাকা হবে। অবশ্যই এ নিয়ে আলোচনা করব।’
২০১৫ সালে টেস্ট অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। ১৪ টেস্টে ৩০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন বাঁহাতি এই পেসার।
তাসকিন-শরীফুলকে হারিয়ে মুস্তাফিজের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও। তবে এই ফরম্যাটে কাটার মাস্টারের অভিজ্ঞতা, ফিটনেসের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন তিনি। অবশ্য বিসিবি চাইলে মুস্তাফিজ খেলবেন, এমনটাই মনে করেন মুমিনুল।
গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আসলে যেটা দেখতে হবে মুস্তাফিজ লাল বলে কত দিন খেলেছে। এখানে কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে। কত দিন খেলছে না খেলছে। আর ফিটনেসের একটা ইস্যু থাকে। এখন যদি ওকে দরকার হয়, তাহলে অবশ্যই খেলবে। দেখেন, আমাদের ফ্রন্টলাইনার দুটো পেসার নেই, শরীফুল-তাসকিন। যদি প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই সে খেলবে।’
সার্বিকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে মুস্তাফিজের থাকাটা এখন প্রায় নিশ্চিত বলাই চলে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.