ঝাড়খণ্ডে নিজের আসনেও হারলেন বিজেপি’র মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে আবারও হোঁচট খেলো ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। বিজেপিকে হারিয়ে ৮১ আসনের বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করে জোট সরকার গড়ছে কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল। এদিকে বিজেপি’র বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস নিজ আসনেও হেরে গেছেন।

গতকাল সোমবার ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও বেলা গড়াতেই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে বিজেপি’র হার স্পষ্ট হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাও খুঁইয়ে পাখির চোখ করেছিল ঝাড়খণ্ডকে।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গঠন করতে হলে ৪১ আসন প্রয়োজন। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না করা হলেও দেশটির বেশীরভাগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেসরকারী ফলাফল বলছে, গতবারের চেয়ে ২২ আসন বেশী পেয়ে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট ৪৭ আসনে জয়ী হয়েছে।

অপরদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার ১২টি আসন খুঁইয়ে বিজেপি’র আসন সংখ্যা ২৫টিতে দাঁড়িয়েছে। বাকি আসনগুলোতে অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলো জয়ী হয়েছে। এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে তখন এই রাজ্যের ১৪ আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছিল দলটি।

ঝাড়খণ্ডে এবারের নির্বাচনে অন্তত ৭৫টি আসনে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু খোদ দলটির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস তার নির্বাচনী এলাকা জামশেদপুর পূর্ব আসনে হেরে গেছেন। আসনটিতে জিতেছেন রাজ্যের সাবেক এক মন্ত্রী, যিনি একসময় বিজেপিতে ছিলেন। এছাড়া বিজেপির রাজ্য সভাপতিও নিজ আসনে হেরেছেন।

২০১৪ সালে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (এজেএসইউ) সঙ্গে জোট বেঁধে ৪২ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার এজেএসইউ দুটি আসনে পেয়েছে। এদিকে সরকার গড়তে যাওয়া জোটের মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চ (জেএমএম) ৩০, কংগ্রেস ১৬ এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এক আসনে জয় পেয়েছে।

গত ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় ঝাড়খন্ড বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয়। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয় ফল ঘোষণা। অবশ্য আগেই বুথফেরত জরিপে জেএমএম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরও ইঙ্গিত ছিল বুথফেরত জরিপে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.