জি৭-এ ৬০ হাজার কোটির ডলারের পরিকাঠামো তহবিল গঠন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনকে ঠেকাতে তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে জি৭। ৬০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল তৈরি করা হবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
এই অর্থ দিয়ে কম আয়ের দেশগুলিতে এমন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে, যা যে কোনো আবহাওয়া সহ্য করে টিকে থাকতে পারবে।
রবিবার (২৬ জুন) জার্মানিতে গ্রুপ অফ সেভেন (জি ৭) দেশের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় বসেন। ৬০ হাজার কোটি ডলারের পরিকাঠামো তহবিলই ছিল সেখানে প্রথম ঘোষণা। চীন ইতিমধ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নিয়েছে। তারই মোকাবিলায় জি৭ এই প্রকল্প হাতে নিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, এই বিনিয়োগের ফলে সকলে লাভবান হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষও লাভবান হবেন। সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি লাভবান হবে।
বেজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা এই বিআরআই চাপিয়ে দিয়ে কম আয়ের দেশগুলিকে ঋণজালে আবদ্ধ করছে। এর ফলে চীনের লাভ হচ্ছে। কারণ, তারা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে বাণিজ্য বিস্তার করতে পারছে।
নতুন জি৭ তহবিল থেকে অ্যাঙ্গোলায় ২০০ কোটি ডলার দিয়ে সোলার ফার্ম গড়ে তোলা হবে, ৩২ কোটি ডলার দিয়ে আইভরি কোস্টে হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় চার কোটি ডলার দিয়ে আঞ্চলিক স্তরে বিকল্প শক্তি বাণিজ্যকে উৎসাহ দেয়া হবে।
বৈঠকের প্রথম দিনেই জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস ভাষণ দেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা খুব জরুরি। রাশিয়া এখন শক্তিকে (তেল-গ্যাস-কয়লা) একটা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। তাদের মোকাবিলায় এই পরিকল্পনা নেওয়া দরকার ছিল।
শলৎস ও বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন। সেখানে প্রতিরক্ষাবাজেট বাড়াবার জন্য বাইডেন শলৎসের প্রশংসা করেছেন।  বাইডেন বলেছেন, জার্মানি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ও শরিক দেশ। জি৭ ও ন্যাটো দেশগুলো যেন এক হয়ে রাশিয়ার মোকাবিলা করে।
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আগে যুক্তরাজ্য ঘোষণা করে, অ্যামেরিকা, জাপান, ক্যানাডা ও যুক্তরাজ্য রাশিয়া থেকে সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করছে। এর ফলে রাশিয়ার উপর আরো চাপ তৈরি করা যাবে বলে যুক্তরাজ্য মনে করছে। এর ফলে পুটিন সরাসরি ধাক্কা খাবেন বলে তারা মনে করছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জি৭ বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.