বিটিসিস্পোর্টসডেস্ক: ৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফর করছে বাংলাদেশ। তিন ফরম্যাটের এই সিরিজ আজ শুরু হচ্ছে একমাত্র টেস্ট দিয়ে। টাইগারদের টেস্ট জয়ের এটিই তো বড় সুযোগ! সেই সুযোগের দিকে তাকিয়ে জিম্বাবুয়েও। দেশের মাঠে ২০১৩ সালের পর থেকে টেস্ট জিততে পারেনি তারা।
আজ বুধবার (০৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে খেলাটি শুরু হবে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জিম্বাবুয়ে নেই। তাই এটি ‘সাধারণ’ টেস্ট ম্যাচ। তবে দুই দলের কাছেই এই লড়াই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জয়ের আশায় মাঠে নামে দুই দলই।
এখন পর্যন্ত ৯ সিরিজে ১৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। দুই দলেরই জয় সমান ৭টি করে। এই ম্যাচে যে দল জিতবে তার সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। আর সর্বশেষ ৫ দেখায় ৪ বারই জিতেছে বাংলাদেশ। আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মুমিনুলদের সামনে।
তবে সিরিজের হিসেবে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ৯ সিরিজে সর্বোচ্চ চারবার জিতেছে জিম্বাবুয়ে; আর ৩ বার বাংলাদেশ। এবার জিততে পারলে জিম্বাবুয়েকে স্পর্শ করতে পারবে লাল সবুজের দল।
অধিনায়ক মুমিনুল হক জানান, বাংলাদেশ প্রস্তুত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়ার জন্য। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই সেরাটা দিতে পারলে ভালো ফল হবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে মুমিনুলের জন্য বড় স্বস্তি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে পাচ্ছেন তারা। একাদশের সমন্বয় বাছতে গিয়ে খুব ঝামেলায় পড়তে হবে না। তবে দুশ্চিন্তাও আছে। তামিম ইকবালের খেলা নিশ্চিত নয়। হাঁটুর চোটে ভোগা অভিজ্ঞ ওপেনারের জন্য ম্যাচের আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলে জানালেন মুমিনুল।
আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম অবশ্য চোট থেকে সেরে উঠেছেন।
জিম্বাবুয়ের ভরসার জায়গা নিজেদের কন্ডিশন ও উইকেট। বাংলাদেশের মাটিতে যেমন স্পিন পরীক্ষায় পড়তে হয় তাদের, এবার তারা বাংলাদেশের জন্য পেস পরীক্ষার আয়োজন করে রাখছে বলেই ইঙ্গিত মিলছে।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টেইলর সরাসরিই বলেছেন, গতিময় ও বাউন্সি উইকেট চান তারা, মন্থর উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশের সুবিধা দেখতে চান না। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.