জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র ছেড়ে চলে যাচ্ছে রুশ সেনারা!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে হামলার টার্গেট করেছে রাশিয়া। বড় ধরনের হামলার শিকার হয়েছে জাপোরিঝজিয়া পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
রুশ সেনারা এটি হামলা চালিয়ে দখলে নিয়ে নেয়ার পর ব্যাপক বিদ্যুৎ সংকটের মুখে পড়ে ইউক্রেন। কিন্তু রুশ বাহিনী জাপোরিঝজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্র-পরিচালিত পারমাণবিক জ্বালানি কোম্পানির প্রধান।
রাষ্ট্রপরিচালিত পারমাণবিক জ্বালানি কোম্পানি এনারগোঅ্যাটম প্রধান পেত্রো কোটিন বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা জাপোরিঝজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছেড়ে চলে যেতে পারে, এমন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে তার কোম্পানি। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনারা কেন্দ্রটি ছেড়ে যাচ্ছে এমন কথা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে আমরা বলতে পারি, তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
রাশিয়ান মিডিয়া পাবলিকেশনের উদ্ধৃতি দিয়ে কোটিন বলেন, পামাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা হতে পারে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কাছে।
তিনি জানান, রুশ বাহিনী এই কেন্দ্রে সামরিক সরঞ্জাম, সেনাসদস্য এবং ট্রাক এনে রেখেছে, যেগুলোতে সম্ভবত আছে অস্ত্র ও বিস্ফোরক। বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রাঙ্গণে মাইনও পেতেছে তারা।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর মার্চ মাসের শুরুতেই রুশ বাহিনী এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ইউক্রেইনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালানোর জন্য তারা এই কেন্দ্রটিকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছে।
‘গণহত্যার সামিল’: চলমান রুশ হামলার কারণে ইউক্রেনজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এই শীতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় রুশ বাহিনীর হামলাকে গণহত্যার শামিল বলে উল্লেখ করেছে ইউক্রেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনজুড়ে লাখ লাখ মানুষ চলমান রুশ হামলার কারণে এই শীতের সময়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ১৪টি অঞ্চল ও রাজধানী কিয়েভে বিদ্যুতের ব্যবহার সীমিত রয়েছে।
জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, গণহত্যার ক্ষেত্রে একটি জাতীয়, জাতিগত, বর্ণ কিংবা ধর্মীয় কোনও গোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংসের অভিপ্রায় থাকে। সেক্ষেত্রে এসব গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা বা গুরুতর ক্ষতিসাধন কিংবা শিশুদের জোর করে অন্যখানে স্থানান্তরের মতো কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত। সে হিসাবে রাশিয়া গণহারে মানুষের ক্ষতি করার টার্গেট নিয়েছে, যাকে গণহত্যার প্রচেষ্টা বলে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.