জাদুঘরের ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাচ্ছে রাশিয়া!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ট্যাংকের স্বল্পতার কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ট্যাংকও ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাচ্ছে রাশিয়া। এমনটাই উঠে এসেছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে। সংবাদমাধ্যমটি চলতি বছরের মার্চে করা এক ভিডিওর আলোকে এমনটা দাবি করেছে।
রাশিয়ার জাদুঘরে থাকা ট্যাংকের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের টি-৫৫এস অন্যতম। মার্চে করা ওই ভিডিও থেকে দেখা গেছে, রাশিয়া দুটি ট্রেনে করে এসব ট্যাংক ইউক্রেনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ১৯৪৮ সালে প্রথমবারের টি-৫৫এস মেইন ব্যাটল ট্যাংক মাঠে নামায় রাশিয়া। এর পর তা দেশটির সশস্ত্রবাহিনীতে যুক্ত ছিল স্নায়ুযুদ্ধ অবসান হওয়া পর্যন্ত। এই সিরিজের ট্যাংকের তিনটি প্রধান ধরণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, লাইট, মিডিয়াম এবং হেভি। সিএনএন-এর দেয়া তথ্যানুসারে সোভিয়েত রাশিয়া টি-৫৫ সিরিজের বিভিন্ন মডেলের প্রায় ১ লাখ ট্যাংক উৎপাদন করেছিল।
মিসর থেকে শুরু করে চীন হয়ে সুদান পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই ট্যাংকগুলো এখনো ব্যবহার করছে। তবে রাশিয়া মোটামুটি স্নায়ুযুদ্ধের পরপরই এ ধরণের ট্যাংক ব্যবহার বন্ধ করে দেয়।
ইতিহাসবিদ জন ডানিলের মতে, রাশিয়া ১৯৮০ এর দশক থেকে টি-৫৫ সিরিজের ট্যাংকগুলো নিষ্ক্রিয় করতে শুরু করে। তারপরও মোটামুটি ২৮ হাজার ট্যাংক রাশিয়ার অধীনে থেকে যায়। যেগুলো ব্যবহারযোগ্য। সিএনএন-এর দাবি রাশিয়া আরসেনিয়েভ নামক সেনা ঘাঁটি থেকে এই ট্যাংকগুলোকে আবারও সক্রিয় করছে।
রাশিয়া এই পুরনো আমলের জাদুঘরে থাকা ট্যাংকগুলো আবারও ইউক্রেনে ব্যবহার করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মার্কিন মেরিন কর্পসের সাবেক সদস্য রবার্ট লী বলেন, ‘এটি অসম্ভব কিছু নয় এবং এর (টি-৫৫ সিরিজের ট্যাংক) অনেকগুলোই ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের দুর্বল পয়েন্ট খুঁজে বের করে সেখান দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.