জাতিকে টুকরো টুকরো করতে চায় কংগ্রেস : মোদি

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আসন্ন এ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রচারে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ইশতেহার প্রকাশ করেছে ভারতীয় কংগ্রেস পার্টি। বিরোধী দলের সেই ইশতেহার নিয়ে এবার কড়া সমালোচনা করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার মতে, ইশতেহারের প্রতিটি পৃষ্ঠায় জাতিকে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা চালিয়েছে কংগ্রেস। শনিবার রাজস্থানের নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
কংগ্রেসের ইশতেহারকে ‘একগুচ্ছ মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের ইশতেহারে সেই একই চিন্তা-ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে, যা স্বাধীনতার সময় মুসলিম লীগে ছিল।’ তার অভিযোগ, কংগ্রেস ভারতের ওপর মুসলিম লীগের ধারণা চাপিয়ে দিতে চায়। এরপর বিরোধীদলকে লক্ষ্য করে মোদি আরও বলেন, ‘বামপন্থিরা মুসলিম লীগের স্ট্যাম্প বহনকারী এই ঘোষণাপত্রের যা কিছু অবশিষ্ট ছিল তা দখল করে নিয়েছে। আজ কংগ্রেসের কাছে নিজস্ব বলতে কিছুই নেই।’
দুর্নীতির ইস্যুতেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, দলটি (কংগ্রেসের) দুর্নীতিবাজদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘যেখানে কংগ্রেস আছে, সেখানে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। কংগ্রেস কখনো গরিব, প্রান্তিক এবং যুবকদের কথা ভাবেনি… এই লোকেরা জনগণের টাকা লুট করাকে তাদের পৈর্তৃক অধিকার বলে মনে করে। গত ১০ বছরে মোদি এই রোগের স্থায়ী নিরাময় প্রদান করেছেন।’ মূলত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহারে বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস।
ইশতেহারে মূলত পাঁচটি ন্যায়ে জোর দেওয়া হয়েছে। নারীদের জন্য ন্যায়, তরুণদের জন্য ন্যায়, কৃষকদের জন্য ন্যায়, শ্রমিকদের জন্য ন্যায় ও সামাজিক ন্যায়। এরপর রোববারও রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির লোকসভা আসনে বিজেপির হয়ে প্রচারণায় অংশ নেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও কংগ্রেসকে উদ্দেশ করে বেশকিছু মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই কংগ্রেস সরকারই দেশকে ৩৭০ ধারার মতো একটি ক্ষতিকর ধারা উপহার দিয়েছিল। আজ যখন বিজেপির মতো মজবুত সরকার দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হয়েছে, তখন কংগ্রেসের ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। চিৎকার-চ্যাঁচামেচি শুরু করেছে, কান্নাকাটি করছে। মূলত জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতজুড়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও কংগ্রেসের ইশতেহারে এ বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। কংগ্রেসের দাবি, নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা চলছে।
সুপ্রিমকোর্ট যদি এই আইনকে বৈধতা দেন তবে ইশতেহারে সেটা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিলে দল অস্বস্তিতে পড়বে। এদিকে ক্ষমতায় গেলে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ৩৭০ ধারা অবিলুপ্তির ইস্যুটি এড়িয়ে গেছে কংগ্রেস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.