জলঢাকার প্রতিবন্ধী সজিবের অসাধারণ নৈপূর্নতার গল্প!

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: সজিব হোসেন বয়স (১৫) বাড়ি নীলফামারী জলঢাকার পূর্ব বালাগ্রাম মন্তের ডাঙ্গায়। বাবা কবির হোসেন কাজ করেন রেডিও ও টেলিভিশন মেরামতকারী হিসেবে।

যা পারিশ্রমিক আসে তা দিয়ে সংসারের ঘানি টানতে হয় সজিবের বাবাকে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবেই অপ্রতুল। সজিব একাধারে কানে শুনে, কথা বলতে পারে না।

শুধুমাত্র ইসারার মাধ্যমে সকল কার্যক্রম তার মাথায় চলে আসে। সে বুঝতে পারে কোন কাজটি কিভাবে করতে হবে। সজিব প্রতিবন্ধী হলেও তার জানা শিক্ষার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

সে এখন জলঢাকা ডালিয়া রোডে অবস্থিত একটি কম্পিউটারের দোকানে অপারেটর হিসেবে কাজ করে। অবাক বিষয় হল সে মস্তিষ্কে কোন জিনিস একবার দেখলে ধারণ করে রাখতে পারে।

বন্ধু ডিজিটাল স্টুডিও এর মালিক জাহিনুর আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে আমি তাকে আমার দোকানে নিয়ে এসে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেই। শুধু তার ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভর করে সে তার কাজে সফলতা ফিরে পেয়েছে।

কম্পিউটারের কম্পোজিং, ফটোশপের কাজ, ইন্টারনেটের হতে শুরু করে সে সবে পারে। সরকারের জনগণের উন্নয়নে প্রতিবন্ধিদের কল্যাণে রাজস্ব থেকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও এখন পর্যন্ত সমাজসেবা অফিসে নিবন্ধিত হয় নি তার নামটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার কবির হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, আমার পারিশ্রমিক কম থাকায় সজিব কাজ করতে চায়। কিন্তু কেহই তাকে কাজে নেয় না। উপজেলা প্রশাসন আমার ছেলেটিকে একটি ভাতার ব্যবস্থা করে দিলে হয়ত সে আগামীতে বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের একজন অসাধরণ কারিগর হয়ে দেশের কল্যানে কাজ করতে পারবে।

জলঢাকা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য মানিক লাল দত্ত বিটিসি নিউজকে বলেন, এখানকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজাউদ্দৌলা সুজা স্যার সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে যদি অদম্য এ মেধাবীকে একটি ভাতার ব্যবস্থা করে দেন তাহলেই তার দারিদ্রতার বাধার শিকল ভাংবেই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি এরশাদ আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.