জব্দ ইরানি তেলের ১০ লক্ষ ব্যারেল বিক্রি করলো যুক্তরাষ্ট্র

(জব্দ ইরানি তেলের ১০ লক্ষ ব্যারেল বিক্রি করলো যুক্তরাষ্ট্র–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের কারণে গত বছর বেশ কয়েকটি তেলের ট্যাংকার আটক করে যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় বিপুল পরিমাণ তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই তেলের ১০ লক্ষেরও বেশী ব্যারেল যুক্তরাষ্ট্র বিক্রি করে দিয়েছে বলে মার্কিন বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন। এদিকে আরো একটি ইরানি জাহাজ তেল নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রওনা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
গত বছর ১০ লক্ষ ২০ হাজারের বেশী ব্যারেল গ্যাসোলিনসহ ইরানের চারটি ট্যাংকার জব্দ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান এ জ্বালানি তেল ভেনেজুয়েলায় পাঠাচ্ছিল। ইরানি ট্যাংকারগুলো থেকে জব্দ করা সব তেল অন্য জাহাজে সরিয়ে তা বিক্রির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তেল বিক্রির এই অর্থ ‘রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাস’-এ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য তহবিলে পাঠানোর কথা রয়েছে।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইরানি জ্বালানি তেল দখলের সবচেয়ে বড় ঘটনা এটাই। মার্কিন বিচার বিভাগের মুখপাত্র মার্ক রেমন্ডি এ সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জব্দ করা ইরানি তেল বিক্রি হয়ে গেছে। এখন চূড়ান্ত ব্যয় নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন।
তিনি বলেন, একটি আন্তঃসম্পর্কিত বিক্রয় জব্দ করা পেট্রোলিয়ামের নগদ মূল্য সুরক্ষিত করেছে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল সার্ভিসের হাতে রয়েছে। জব্দ গ্যাসোলিনের মূল্য জানা যায়নি, তবে ইউরোপীয় গ্যাসোলিনের বেঞ্চমার্ক মূল্যের ভিত্তিতে তা কয়েক কোটি ডলার হতে পারে। এদিকে, গত সপ্তাহে আরেকটি জাহাজ জব্দের দাবিতে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বলা হচ্ছে, জাহাজটি ইরাক নয়, ইরান থেকেই এসেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছে। লাইবেরীয় পতাকাবাহী ট্যাংকারটির সবশেষ অবস্থান জানা গিয়েছিল ক্যারিবীয় সাগরে। এর গন্তব্য ছিল টেক্সাস উপকূলীয় গ্যালভেস্টন বন্দর এবং সেখানে আগামী রবিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) পৌঁছানোর কথা। তবে হিউস্টন ও গ্যালভেস্টন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা ঐ ট্যাংকারটির আগমন সম্পর্কে কিছু জানেন না এবং এটি কাদের দেখভাল করার কথা তাও তাদের জানা নেই।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির জেরে দেশটির ওপর শক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি বেশ কয়েকটি সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমাও দিয়েছে তারা। যদিও মার্কিনিদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। তার পরও দুই দেশের মধ্যে গত কয়েক দশক ধরে চলমান দ্বন্দ্ব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.