জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টে

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: কিছুক্ষণ আগে কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল খোলা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয়। সুদীপ ঘোষ চৌধুরীর আনা জনস্বার্থ মামলায় বলা হয় ,এখনও অনেকেরই টিকাকরণ হয় নি। তারপর অনেক অভিভাবকদের এখনই স্কুলে পাঠানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। হঠাৎই কারো শরীর খারাপ হলে কি হবে? তাছাড়া যথাযথ স্যানিটাইজেশন হয়নি বহু স্কুলের। ছুটির জন্য অনেক শীক্ষাকর্মীদেরও পাওয়া যাচ্ছে না।
এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল শ্রী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান,অনেক রাজ্যই স্কুল খুলে গিয়েছে। আমাদের রাজ্য তা থেকে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে।চিকিৎসক তথা মনোবিদরা মনে করেন দু-বছর ধরে স্কুল বন্ধ রেখে ছাত্র ছাত্রীদের মানসিকতার বৈষম্য লক্ষ করা যাচ্ছে।
আর স্যানিটাইজেশনের ব্যাপারে যথেষ্ট দৃষ্টি রাজ্য সরকারের আছে।
শিক্ষাদফতর ইতিমধ্যেই গাইডলাইন প্রকাশ করে স্কুলে স্কুলে তা পাঠাতে শুরু করেছে। তাতে বলা আছে শরীর খারাপ বা জ্বর থাকলে স্কুলে না পাঠানোর। দশ মিনিট অতিরিক্ত সময়ে শিক্ষক তথা ছাত্র ছাত্রীদের বোঝানো হবে করোনা পরিপ্রেক্ষিতে কেউ অসুস্থ হলে কি করণীয় কি নয়। এব্যাপারে চিকিৎসক ও তৎক্ষণাৎ স্থানীয় হাসপাতালের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকছে।
মাননীয় প্রধান বিচারপতি শ্রী প্রকাশ শ্রীবাস্তব ,সকলের কথা শুনে মামলা খারিজ করে বলেন,ছাত্র ছাত্রীদের ব্যাপারে অভিভাবকদের আসতে দিন। তাঁরাই ঠিক করুক তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে কখন কিভাবে পাঠাবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার যথেষ্ট নমনীয় ও সংবেদনশীল।
তাছাড়া সবাইতো একসাথে স্কুলে আসছে না। দরকারে একাধিক কম সময়ের সিফটে ক্লাস হবে।আপাতত শিক্ষাদফতর ঠিক করেছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হবে দুটো সিফটে। সকাল ৯-৩০মিঃ থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দফতর যদি মনে করে সময়ের পরিবর্তন ও সংযোজন করে ক্লাস করার করবে। তবে কোনও অবস্থাতেই শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে খামতি রাখা যাবে না। স্কুল সরকার নির্ধারিত দিনই খুলবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.