ছাত্রীদের প্রহারে বিদ্যালয়ে বসেছিল সালিসি বৈঠক 

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: গত ৭ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দেলুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অফিস কক্ষে ক্লাস বন্ধ রেখে ৩ ঘন্টা ব্যাপী সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ এই ঘটনা বৈঠক কি কারণে হয়েছিল তা তাৎক্ষিণ ভাবেই জানা যায়।
বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঐ সালিসি বৈঠক সম্পর্কে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার শীল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার শীল বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আমার বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা চিন্ময়ী সরকারকে নিয়ে একটি সালিসি বৈঠক বসে। এর দুই দিন আগে ৫ম শ্রেণীর সুমাইয়া ও খাদিজা নামের দুই ছাত্রীকে চিন্ময়ী বাথরুমে আটকে রাখে ও ব্যাপক ভাবে শারীরিক প্রহার করেন। এর প্রেক্ষিতে ঐ শিক্ষার্থীদের পরিবার আমার কাছে ও সভাপতি সাহেবের কাছে বিচার প্রার্থনা করেন। তার প্রেক্ষিতে ঐ দিন অফিস কক্ষে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের জন্য সালিসি বৈঠক করা হয়।
এবিষয়ে শিক্ষার্থী শারীরিক ভাবে প্রহারের শিকার হওয়া খাদিজা ও সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, আমাদের মেয়েদের শিক্ষিকা চিন্ময়ী বিনা কারণে দুই ঘন্টা বাথরুমে আটক রাখে। পরবর্তীতে বাথ রুমের মধ্যে চিৎকার চেচামেচি করলে সহপাঠীরা তাদের উদ্ধার করে। স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষয়টি আমাদের কাছে বললে আমরা ঐ বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে ছিলাম। তার প্রেক্ষিতে পরের দিন আমাদের মেয়েদের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাবে শারীরিক প্রহার করে সহকারী শিক্ষিকা চিন্ময়ী।
তারা আরও বলেন, আমরা আবারও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার প্রার্থনা করলে ৭ সেপ্টেম্বর স্কুল অফিস রুমে সকলের উপস্থিতিতে সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ঐ বৈঠক চলাকালে আপনারা উপস্থিত হলে তার সঠিক কোন বিচার না দিয়ে তা বন্ধ করে সবাই যার যার মতো চলে যায়। আমরা এখনো স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন সমাধান পাইনি।
এদিকে ঐ বিদ্যালয়ের  অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা চিন্ময়ী সরকারের কাচে মুঠোফোনে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে  তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আর আপনাকে বলার মতো আমার কিছুই নেই। এই বলে তার পিতা বিমল বন্ধু সরকারের কাছে মুঠোফোনটি হস্তান্তর করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষিকার বাবা বিমল বন্ধু সরকার বলেন, আপনারা অহেতু আমার মেয়েকে ফোন করে বিরক্ত করবেন না। আমারও দু’চার জন সংবাদিক আছে। আমরাও সংবাদিক সম্পর্কে জানি এই বলে ফোনটি রেখে দেন।
এদিকে প্রাথমিক ঐ ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার সুজাবত আল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমরা সরজমিনে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.