মোরেলগঞ্জে শারদীয় দূর্গা উৎসবে ৭৫ মন্ডপ’ই প্রশাসনের নজরদারীতে


মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পূঁজা শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। ইতিমধ্যে ৭৫ মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর মাটির কাজ শেষ করে রং তুলির অপেক্ষায় রয়েছে ভাস্কররা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ৭৫টি পূজা মন্ডপকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সি.সি ক্যামেরার আওতায় কঠোর নজরদারীতে রাখছেন প্রশাসন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে এ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন সহ পৌরসভায় এবারে ৭৫ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূঁজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ৪টি মন্দিরে কেন্দ্রীয় সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দির, সেরেস্তাদারবাড়ী নবারুন সংঘ দূর্গামন্দির, চাউলাপট্রি সাধক রামপ্রসাদ দূর্গামন্দির ও ছোলমবাড়ীয়া সার্বজনীন দূর্গামন্দির সহ ৭১ টি মন্ডপে ভাস্কররা প্রতিমা তৈরী কাজে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবারে এ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী ১৫টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের এ বড় উৎসব দূর্গা পূঁজা ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে পহেলা অক্টোবর ৬ষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে দূর্গা পূজার শুরু বিজয়া দশমীর বিসর্জনের মাধ্যমেই শেষ হবে। এবারের দূর্গা দেবীর আগমন ঘটকে এবং গমন নৌকায় করে।
এদিকে পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা আহব্বায়ক কাউন্সিলর শংকর কুমার রায় জানিয়েছেন, এবারে দূর্গা পূঁজায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের মন্ডপগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা আরম্ভের পূর্ব থেকেই প্রতিটি মন্দিরে স্থায়ীভিত্তিতে আনসার সদস্য, টিম সরকারীভাবে মন্ডপে সি.সি ক্যামেরা এবং বিগত বছরের সরকারী বরাদ্দ চাল না দিয়ে নগদ অর্থ দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
এ সর্ম্পকে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, শারদীয়া দূর্গা উৎসবকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ডপগুলোকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখা হচ্ছে। রবিবার পূজা উদযাপন কমিটি সহ ইউনিয়র পর্যায়ের মন্দির কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরী সভার আহব্বান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসবকে ঘিরে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রাখা হয়েছে। ৭৫টি মন্ডপকেই অধিক গুরুত্বপূর্ন হিসেবে কঠোর নজরদারীতে রাখা হচ্ছে। পুলিশ, আনসার সদস্য প্রশসিনের টিম সার্বক্ষনিক মাঠে থাকছেন। প্রতি মন্দিরেই সি.সি ক্যামেরার আওতায় নেয়া হয়েছে। সরকারী বরাদ্দের বিষয়ে নির্দেশনা এলেই প্রতিটি মন্দিরই তাদের বরাদ্দ পেয়ে যাবেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি গনেশ পাল ও এম.পলাশ শরীফ। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.