চীন এখনই তাইওয়ানে হামলা করবে না : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ানে এখনই হামলা করবে না চীন বলে ধারণা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের। গতকাল রোববার তিনি বলেন, তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক তৎপরতা চালিয়ে সেখানে ‘নতুন স্বাভাবিক অবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে বেইজিং।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এমনিতেই তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। তার ওপর গত আগস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। পেলোসির সফরের পরপরই তাইওয়ানের চারপাশে বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করে চীন। সেসব মহড়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। যদিও তা সীমিত পরিমাণে এবং মহড়ার মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে চীনের সশস্ত্র বাহিনী।
সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ‘আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তা হলো- চীন (তাইওয়ানের চারপাশে) একটি নতুন স্বাভাবিক অবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে চলেছে। সেখানে তাদের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে – আমরা তাদের প্লেনকে তাইওয়ান প্রণালীর বেশ কয়েকটি লাইন ক্রসিং করতে দেখেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাইওয়ানের আশপাশে চীনের ভূখণ্ড এবং জলসীমায় আমরা চীনের বর্ধিত কার্যকলাপ দেখছি।’
চীনের মহড়া ও সামরিক কর্মকাণ্ডের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাতায়াত অব্যাহত রেখে মহড়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি কানাডিয়ান ফ্রিগেট গত ২০ সেপ্টেম্বর তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে ট্রানজিট করে।
গত আগস্টে পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিশোধ হিসেবে সিনিয়র-স্তরের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে সংলাপ-সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয় চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে সামরিক যোগাযোগের চ্যানেলগুলো পুনরায় খোলার জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন লয়েড অস্টিন।
অস্টিন জানান, তিনি ফোনে এবং ব্যক্তিগতভাবে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংঘের সাথেও এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। চীনা এই মন্ত্রী উন্মুক্ত যোগাযোগ উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.