চীন’র উত্তর’র অপেক্ষায় ভারত

(চীন’র উত্তর’র অপেক্ষায় ভারত)

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ১৯৫৯ সালে এক তরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নির্ধারণ করেছিল চীন। আর সেই সীমা রেখাকে কখনোই মেনে নেয়নি ভারত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর চীন-ভারত কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সম্পর্কে বেইজিংয়ের ১৯৫৯ সালের দাবী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে দিল্লি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ অক্টোবর লাদাখে অনুষ্ঠিতব্য সামরিক কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে চীন কী প্রতিক্রিয়া জানায়, তার দিকে তাকিয়ে আছে ভারত।

ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৫৯ সালের ১৯ নভেম্বর জওহারলাল নেহেরুকে চীনের রাষ্ট্রপতি ঝৌ এনলাই যে এলএসি’র প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা তাৎক্ষণিক প্রত্যাখান করা হয়। সেই চিঠিতে দুদেশের সীমান্তের একটা কাল্পনিক ধারণা ছিল। তা এক তরফাভাবে দিয়েছিল চীন। কিন্তু কোনো স্পষ্ট রেখা টানা হয়নি। ফলে এলএসি নিয়ে দুই দেশের দুরকম ধারণা রয়েই গেছে।

ভারতীয় কূটনীতিকরা জোরালোভাবে জানায়, চীন ইতিমধ্যে ভারতের আকসই চীন অঞ্চলের ৩৩ হাজার কিলোমিটার ভূমি দখল করে রেখেছে। এ ছাড়া ১৯৬৩ সালে শকসগাম উপত্যকার আরও ৫ হাজার ১৮০ বর্গকিলোমিটার ভূমি অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করে নেয়, যা পাকিস্তান তাদের হস্তান্তর করে।

তবে ভারতের কূটনীতিকদের এমন দাবীর পর চীন এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর দেয়নি। তাই আগামী সপ্তাহে সামরিক কমান্ডারদের এলএসি নিয়ে চীনের অবস্থান সম্পর্কে তারা জানাবে বলে আশা করছে ভারত।

উল্লেখ্য, চলতি বছর মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে উত্তপ বাড়ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চীনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। গত জুন মাসে গালওয়ান ঘাঁটিতে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে এক কর্নেলসহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হন। তারপর থেকে সীমান্ত উত্তাপ কমাতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। মস্কোতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীরাও বৈঠক করেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.