চিলির প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা করেনি আন্দোলনকারীরা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা ক্ষমা চাওয়ার পরও বিক্ষোভকারীদের সাধারণ ধর্মঘটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমেছে দেশটির হাজার হাজার নাগরিক। সরকার বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ছয় দিনে ১৮ জন নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্টের উপর চাপ জোরদারে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। খবর এএফপি’র

এদিকে ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড সেন্টার অব চিলি জানায়, ‘ধর্মঘট চলছে! আমরা উচ্চ কণ্ঠে স্পষ্ট করে বলতে চাই যে নিহতের সংখ্যা ও দমন পীড়ন অনেক হয়েছে। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না।’

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা সামাজিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি পূর্বানুমান করতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেন, ‘আমি মেনে নিচ্ছি যে এক্ষেত্রে আমার দূরদর্শিতার ঘাটতি ছিল।’

ভাষণে সেবাস্তিয়ান পিনেরা অর্থনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে বলেন, সরকার চিকিৎসা সেবা আরও সহজলভ্য, ওষুধের দাম কমানো এবং বিদ্যুতের দাম স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নেবে। প্রেসিডেন্টর এমন আশ্বাসের পরও তা উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে রাস্তায় নেমে এসেছে।

ল্যাটিন আমেরিকার অন্যতম সবচেয়ে ধনী দেশ চিলিতে গত কয়েক দশকের মধ্যে এতো ব্যাপক সহিংসতা হতে দেখা যায়নি।

মেট্রো রেলের টিকিটের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত শুক্রবার নাটকীয়ভাবে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সরকার ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেও অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং দৈনন্দিন জীবন যাত্রার খরচ বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ এখনও চলছে। মানবাধিকার বিষয়ক জাতীয় সংস্থা জানায়, চিলির সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত ও ২৬৯ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় এক হাজার ৯শত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.