চাকরীহারা : খুলনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২১১জন আউটসোর্সিং স্বাস্থ্যকর্মী


খুলনা ব্যুরো:  ১জুলাই থেকেে চাকরীহারা হতে চলেছেন খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২১১ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী। সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ গতকাল সোমবার (১৫ জুন) সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পত্র দিয়ে ওই ২১১ জন কর্মচারীর চাকরীর মেয়াদ বৃদ্ধি না করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ আগামী পয়লা জুলাই থেকে তাদের আর চাকরী থাকছে না।
এদিকে, বিগত এক বছর ধরে কর্মরত থাকলেও এখনও বেতন পাননি ওইসব কর্মচারীরা। এ ব্যাপারে ঠিকাদার বলছেন, তাদের বেতনের জন্য ইতোমধ্যে হিসাব অফিসে কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে। হয়ত সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বেতন হবে।
সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদরের মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজকে দেয়া ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহের কার্যাদেশ ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। তাই ৪র্থ শ্রেণি(আউটসোর্সিং) পদে সিভিল সার্জনের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে মোট ২১১ জন জনবলকে ৩০ জুন হতে কাজ করার অনুমতি প্রত্যাহারসহ অব্যাহতি দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, গত বছর (২০১৯) মে মাসে এক সাথে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৩০টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ২১১ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীকে কাজের অনুমতিসহ পদায়ন করা হয়। খুলনার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা: এএসএম আব্দুর রাজ্জাক মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এ সংক্রান্ত পত্রও দেন।
ওই পদায়নের ভিত্তিতে জুন মাস থেকেই কাজ শুরু করেন ২১১ জন কর্মচারী। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের বেতন হয়নি। নিয়োগের কয়েক মাস পরই তৎকালীন সিভিল সার্জন অবসরে গেলে বর্তমান সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ যোগদান করেন।
ইতোমধ্যে ওইসব কর্মচারীদের বেতনও অনুমোদন হয় স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। তিন বছরের জন্য অনুমোদন হলেও নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগের চক্রান্ত চলে। যদিও বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করে মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের কার্যাদেশ বৃদ্ধি না করে নতুন করে টেন্ডার আহবান করতে হবে বলে বর্তমান সিভিল সার্জন জানিয়েছেন। এজন্য পত্র দিয়ে আগের কাজ করার অনুমতিপত্র বাতিল করা হয়েছে। শীর্ঘই ঠিকাদার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হতে পারে বলে সিভিল সার্জনের দপ্তর জানিয়েছে।
অপরদিকে, ফুলতলার মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ২১১ জন কর্মচারীর বেতন অনুমোদন হলেও ভ্যাট সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় আবারো তিনি ঢাকায় গেছেন।
হয়তো আজ মঙ্গবার (১৬ জুন) এর মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হতে পারে। এরপর খুলনা এসে হিসাব অফিস থেকে বেতন অনুমোদন করিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই বেতন দেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.